দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আপাতত স্বাস্থ্যপরীক্ষা নয়, সপ্তাহান্তে বন্ধ থাকছে না দ্বিতীয় হুগলি সেতু। জানানো হয়েছে, বিদেশ যে সংস্থার মেশিনের মাধ্যমে সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার কথা হচ্ছিল, সেই সংস্থার কিছু সমস্যা রয়েছে। কবে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। লালবাজারের তরফে আগে জানানো হয়েছিল, আগামী ২৯ এপ্রিল, শনিবার এবং ৩০ এপ্রিল, রবিবার রাতে কেবল পরীক্ষা, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির জন্য বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু| শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা এবং রবিবার রাত ১১টা থেকে সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত এই সেতুতে কোনও গাড়ি চলবে না। শুধু কলকাতা হাওড়ার মধ্যে সংযোগকারী নয়, এই সেতু ব্যবহার করে জেলা ও অন্য রাজ্য থেকেও কলকাতা শহরে আসেন মানুষ। বিশেষত রাতের দিকে বহু মালবাহী যান এই সেতু পারাপার করে। স্বাভাবিকভাবেই এই সেতু বন্ধ থাকলে সমস্যায় পড়তেন চালকরা। সেতু বন্ধ থাকার কারণে বিকল্প রুটও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল লালবাজারের তরফে। বলা হয়েছিল, শনি ও রবিবার বেহালা-আলিপুরের দিক থেকে আসা গাড়িগুলিকে হসপিটাল রোড, ধর্মতলা, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়, টালা সেতু, বিটি রোড হয়ে নিবেদিতা সেতুর দিকে এগিয়ে যাবে।
অন্যদিকে, বন্দর এলাকার দিক থেকে আসা গাড়িগুলি হেস্টিংস মোড় থেকে ঘুরিয়ে স্ট্র্যান্ড রোড, কিংস ওয়ে, ধর্মতলার দিকে চলে যাবে। টালিগঞ্জ-ভবানীপুরের দিক থেকে যে গাড়িগুলি আসবে, তা এক্সাইড মোড়, ধর্মতলা হয়ে নিবেদিতা সেতুতে পাঠানো হবে। এছাড়া ছোট গাড়িগুলি যাতায়াত করবে স্ট্র্যান্ড রোড ও হাওড়া সেতু হয়ে। আপাতত এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে না।রাজ্যের সমস্ত সেতুরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। কারণ কোনও বিপদ হোক সেটা চায় না রাজ্য সরকার। তাই আগাম পরিকল্পনা করে সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ঘোড়া পাসে ওয়াই পয়েন্টের থেকে গাড়িগুলিকে রেড রোডের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। সেখান দিয়ে সেগুলি হাওড়া ব্রিজে উঠতে পারবে। এমনই ঠিক হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় হুগলি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা পিছিয়ে গেল বলে আর ঘুরপথে সফর করতে হবে না রাজ্যবাসীকে।