দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে ধাক্কা খেল সিবিআই। এই ঘটনার তদন্তে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার তদন্তভার চেয়ে সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ করে সিট তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।গত বছরের ২১ মার্চ, ভাদু শেখকে তার বাড়ির সামনে খুন হতে হয়। খুনের সময়ও ভাদু লালনের কাছে ছিল। ভাদু খুনের পালটা বগটুই গ্রামে গণহত্যা চলে। এমনকি পরের দিন সকালেও গ্রামে যেতে সাংবাদিকদের বাধা দেন লালন। ন’মাস পরে ৩ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার হন লালন। তার ৯দিনের মাথায় ১২ ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় লালনের। নিহতের স্ত্রীর দাবি, খুন করা হয় লালনকে। তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ।সিবিআইয়ের সাত তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। সেই তালিকায় ছিলেন গরু পাচার মামলার তদন্তকারী দুই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য ও স্বরূপ দে। রাজ্য পুলিশের তদন্ত ও এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।
আগেই এই সাত আধিকারিককে রক্ষাকবচ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার ওই মামলারই রায়দান করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, লালন শেখের মৃত্যুর তদন্ত করবে সিট |আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। সিবিআই বা সিআইডি কোনও তদন্ত করবে না। সিবিআইকে কোনও রিপোর্টও দিতে হবে না। এদিন আদালত আইপিএস প্রণব কুমারের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল গঠন করেছে। দলে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার প্রধান বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়। তদন্তকারী দলের বাকি সদস্যদের নির্বাচন করবেন প্রণব কুমার। আদালত জানিয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া এই তদন্তে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না তদন্তকারী দল। এদিন সিবিআইয়ের তরফে আবেদন করা হয়, ভিনরাজ্যের আধিকারিকদের দিয়ে গঠন করা হোক তদন্তকারী দল। সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।