দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ময়নাকাণ্ডে নিহত বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে নিরাপত্তা না দেওয়ায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, কেন্দ্রীয় সরকার কি আইনের ঊর্ধ্বে?কেন এখনও নিহত বিজেপি নেতার পরিবারের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সচিবকে তলবেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি |গত ১ মে রাতে খুন হন ময়নার বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। ৩ মে কলকাতা হাইকোর্টে দেহের ফের ময়নাতদন্তের দাবিতে হাজির হয় পরিবার। সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তায় তাদের আস্থা নেই বলে জানায় পরিবার। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে পরিবারকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। কিন্তু তার পর একে একে ৫টা দিন কাটলেও বিজয়কৃষ্ণবাবুর পরিবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পায়নি।
এদিন আদালতে বিষয়টি উত্থাপন করেন আবেদনকারীদের আইনজীবী। একথা শুনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা।তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারি কি আইনের ঊর্ধ্বে? দায় এড়িয়ে যাওয়া কেন্দ্রের একটা প্রবণতা। আন্দামানে দেখেছি, এখানেও দেখছি। কেন এখনও পরিবারকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি? প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তলব করব। তখন দেখব কী করেন?’তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের এই দায়সারা মনোভাব গ্রহণযোগ্য নয়। কেন্দ্রের তরফে যা করা হয়েছে তা আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের জন্য যথেষ্ট।’ওদিকে রাজ্য সরকারের তরফে এদিন অভিযোগ করা হয়, মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। এদিন আদালতে কম্যান্ড হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা পড়ে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, ‘তমলুক হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনও উল্লেখযোগ্য ফারাক নেই’। ২টি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কপিই সব পক্ষকে দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।এদিকে, ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।