প্রসেনজিৎ ধর :- দুর্ঘটনা ওড়িশায় ঘটলেও বাংলার বহু যাত্রী ছিলেন অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে।গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি অনেকে। বহু মানুষ আত্মীয়ের খোঁজ পাচ্ছেন না। বাংলার একাধিক গ্রামে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার ছবি দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। ঘটনার পরই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলাগুলি থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তরও খবর নেওয়া হচ্ছে নবান্নের তরফে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিয়েছে:
ঘটনার পরই নবান্ন থেকে একটি ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যার নম্বর হল 033-22143526 ও 033-22145185। সিনিয়র আইএএস অফিসাররা ২৪ ঘণ্টা উপস্থিত থেকে সেই কন্ট্রোল রুম সামলাচ্ছেন।
প্রতি এক ঘণ্টায় পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ব্লক ও জেলাস্তরের অফিস থেকে।
গতকাল মানুষ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি দল পৌঁছেছে বালাসোর। এবার রাজ্যের কয়েকজন দক্ষ আইএএস অফিসারকে পাঠানো হয়েছে ওড়িশাতে।
শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাংলা থেকে পাঠানো হয়েছে ৩৪ জন চিকিৎসক, ১০টি বাস, ২০টি মিনি-ট্রাক এবং ৭০টি অ্যাম্বুলেন্স। পুলিশের দুটি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপও বালেশ্বর যাচ্ছে।পাশাপাশি ওড়িশার বিভিন্ন জেলা থেকে চিকিৎসকদের কটক ও সোরো হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কয়েকজন আহতকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ওড়িশার সঙ্গে সমন্বয় করতে মুখ্যসচিব সব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
শুক্রবারই বালেশ্বরে পৌঁছেছেন এ রাজ্যের সিনিয়র আইএএস অফিসারেরা। চার জন সিনিয়র আইএএস অফিসার, চার জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট একজন এসডিপিও সহ একটি বিশেষ দল শুক্রবার রাত থেকে বালেশ্বরে ক্যাম্প করছেন। সেখান থেকে বাংলার যাত্রীদের সাহায্য করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে বালেশ্বরে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেল ও ওড়িশা সরকারের সঙ্গে উদ্ধার কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি |
ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন রেলমন্ত্রী পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা হলেন- কিছু তো হয়েছে, তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনার সঠিক ভাবে তদন্ত হওয়া উচিত। যদি অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস বসানো থাকত এটা হত না। এতগুলো প্রাণ চলে গেছে। তাঁদের ফেরানো তো যাবে না।