Breaking News

করমণ্ডলের দুর্ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়!শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা’য় রেলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মমতা,ঘোষণা আর্থিক সাহায্যেরও

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ট্রেন দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার জন্য রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি আহত ও নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করলেন তিনি।শনিবার সকাল ১২.৩৫ নাগাদ হেলিকপ্টারে বালেশ্বরে পৌঁছে যান মমতা | হেলিপ্যাডে নেমে বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করে সোজা চলে যান ঘটনাস্থলে। খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি। এরপরই নিহতদের পরিবারের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে ঘোষণা করেন তিনি। আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, বাংলা থেকে আড়াইশোরও বেশি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪০ জন ডাক্তার ঘটনাস্থলে কাজ করছেন। এছাড়াও বাংলার যাত্রীদের বাড়ি ফেরাতে বাস পরিষেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বালেশ্বরে পৌঁছেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনীর সঙ্গে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতার। কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা রেলমন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তখন রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব জানান যে, ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অথচ তার বেশ কিছু ক্ষণ আগেই রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।রেলের কাজে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে রেলমন্ত্রীর সামনেই অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তবে এই দুর্ঘটনাকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা’ আখ্যা দিয়ে রেলকে তোপ দাগতেও ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পাশে দাঁড়িয়েই বলে দেন, “আমি তিন বছর রেলমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছি। কিন্তু এখন মনে হয় রেলে নিজেদের মধ্যে কোনও কো-অর্ডিনেশন নেই। কীভাবে এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটল তার ভাল করে তদন্ত হোক।”

অভিশপ্ত করমণ্ডলে এখনও জোরকদমে চলছে উদ্ধার কাজ। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ঘটনার পরই গতকাল রাতে বালেশ্বরর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল রাজ্যের সরকারের প্রতিনিধি দল। চিকিৎসক, নার্স পাঠিয়েছিলেন মমতা। এদিকে রাত পেরিয়ে সকাল হতেই বালেশ্বরে অকুস্থলে গিয়ে হাজির হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌঁছে গিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । এদিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেই রেলমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার দুঃখপ্রকাশ করলেন মমতা। কেন্দ্রের পাশাপাশি বাংলার সরকারও যে সর্বতোভাবে উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে সে কথাও বারবার বলেছেন মমতা। মমতা এদিন বললেন, “আমরাও বাস দিয়েছি। কোনও পরিবারের কোনও সমস্যা থাকলে, স্বজনদের কোনও সমস্যা হলে আমাদের টিম রয়েছে। তাঁরা সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তাঁরা ওড়িয়া ভাষাও জানেন। তাঁরা আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতেও প্রস্তুত রয়েছেন।” এদিকে কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল একযোগে তিনটি ট্রেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। উঠে আসছে নানা তত্ত্ব।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *