প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সৌজন্যের রাজনীতি বজায় রাখছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলার সুস্বাদু আম পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুদৃশ্য বাক্সে হিমসাগর, লক্ষ্মণভোগ, ফজলি সহ নানা প্রজাতির মোট ৪ কিলো আম পাঠানো হবে দিল্লির ৭ লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কেও মুখ্যমন্ত্রীর তরফে পাঠানো হচ্ছে সৌজন্যের আম। মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘আমদৌত্য’-কে তৃণমূলের তরফে ‘সৌজন্যতার রাজনীতি’ বলেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সোমবার থেকে দিল্লিতে শুরু হয়েছে আম মেলা। চলবে ১৯ জুন পর্যন্ত।
নয়াদিল্লির কেন্দ্রস্থল কনর্ট প্লেসের কাছে জনপথের হ্যান্ডলুম হাটে বসেছে এই আম মেলা। এই আবহেই এবার সামনে এল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আমদৌত্য। বাংলার আম চাষিদের ব্যবসার সুযোগ করে দিতেই এমন আম মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আম উৎপাদনে গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। গড়ে প্রত্যেক বছর প্রায় ২৬ লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয় বাংলায়। দিল্লির মেলার জন্য আনা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এখন রাজনীতির যে প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে সেখানে সম্পর্ক তেতো হয়েছে প্রতিনিয়ত। সেখানে প্রথমসারির আম প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে নয়াদিল্লিতে যাচ্ছে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, মল্লিকা, লক্ষ্মণভোগ, ফজলি, গোলাপ খাস, রাজভোজের পাশাপাশি নবাব সিরাজদৌল্লার পছন্দের ‘কোহিতুর’, ‘বেগম খাসে’র মতো আমও। তবে এতকিছুর মধ্যে নজর কেড়ে নিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আমদৌত্য। বিশেষ করে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে ইডি তলব করেছে। আবার রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করেছে ইডি। সেখানে এমন রাজনৈতিক সৌজন্য সত্যিই বিরল।