দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। এয়ারলিফ্ট করে লেহ থেকে আনা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী। লেহ থেকে এয়ার লিফ্ট করে ৫ কোম্পানি ও ২ প্ল্যাটুন বাহিনী নিয়ে আসা হল । ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজনৈতিক অভিজ্ঞরাই বলছেন, বাংলার নির্বাচনে এটা কার্যত নজিরবিহীন ঘটনাই বটে। বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী কীভাবে আসবে এত অল্প সময়ের মধ্যে, তা নিয়ে জলঘোলা তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি লেহ থেকে নিয়ে আসা হল সেনা।
তবে জানা গিয়েছে, এই বাহিনী কলকাতায় নয়, পৌঁছয় পানাগড়ে। সেখান থেকেই তাদের নির্দিষ্ট স্থানে মোতায়ন করা হবে। তবে ৪৮৫ কোম্পানির মধ্যে কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছচ্ছে, তা এখনও কমিশন জানাতে পারেনি। তারা আসার পর ঠিক হবে কোন বুথে তারা যাবে, আদৌ স্পর্শকাতর বুথ পর্যন্ত তারা পৌঁছতে পারবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। তবে এটা যে নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন ঘটনা, তা স্বীকার করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।ওদিকে বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রস্তাব মেনে নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আইজি বিএসএফ এসসি বুদাকোডির প্রস্তাব মেনে নিয়ে সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিস সুপার এবং পুলিস কমিশনারদের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা সহ চিঠি দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।সূত্রের খবর, শুধু লেহ্ বা লাদাখ নয়, পাঞ্জাব এবং অরুণাচল সীমান্ত থেকে গ্রামবাংলার বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসেছেন। অন্তত ৮০ শতাংশ বাহিনী বুথে বুথে মোতায়েন করা হবে শুক্রবারের মধ্যেই। কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠছে, লেহ্ বা অরুণাচল থেকে যে জওয়ানদের আনা হল, তাঁরা রাতারাতি কীভাবে পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন? এ বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, তাঁরা আদালতের নির্দেশ মেনেই পর্যাপ্ত বাহিনী চেয়েছে। সেক্ষেত্রে সমন্বয়কারী অফিসার কীভাবে তা মোতায়েনের ব্যবস্থা করবেন, তা তাঁর আর কেন্দ্রের বোঝাপড়া।