প্রসেনজিৎ ধর :-বুধবার ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর সেখান থেকেই একাধিক ইস্যুতে বিজেপি সরকারকে তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের বর্ষপূর্তির দিনই বিজেপিকে ‘দিল্লি ছাড়া’ করার হুঙ্কার শোনা গেল নেত্রীর মুখে।উন্নয়নের প্রশ্নে বরাবরই আদিবাসীদের জন্য আলাদা করে ভাবার কথা বলেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। একাধিক প্রকল্পও তৈরি করা হয়েছে। শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রেও যাতে জটিলতা এড়ানো যায় তার চেষ্টা করা হয়েছে। লোকসভা ভোটে ধাক্কা খেলেও তারপরে ধীরে ধীরে আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে মাটি ফিরে পেয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে ঝাড়গ্রামে ভাল ফল করেছে তৃণমূল। বড় ব্যবধানে জয় এসেছে ঝাড়গ্রামের জেলা পরিষদে। এবার সেই জেলায় দাঁড়িয়েই আদিবাসী সমাজের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৪২ সালের ৯ অগাস্ট মহাত্মা গান্ধী ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। তার উল্লেখ করে বুধবার ঝাড়গ্রামে মমতা বলেন, তখন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা বলেছিলেন, ইংরেজ ভারত ছাড়ো আজকে আমরা বলছি, বিজেপি তুমি গদি ছাড়ো। বিজেপি তুমি ভারত ছাড়ো, বিজেপি ইউ কুইট ইন্ডিয়া। দীর্ঘ ভাষণে বিজেপির সমালোচনা করলেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহের নাম একবারও শোনা যায়নি। মমতা বলেন, সারা দেশে দলিতদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি। তিনমাস ধরে মণিপুর জ্বলছে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হেলদোল নেই। বিজেপি ভাবছে জাতিদাঙ্গা লাগিয়ে ওরা চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে। আগামী লোকসভা ভোটে সেটা হবে না। ওই মঞ্চ থেকেই আবারও মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন। তিনি বলেন, দুবছর ধরে ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনেও নেমেছি। তার সরকার গত ১১ বছরে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য কী কি কাজ করেছে মুখ্যমন্ত্রী তারও বিস্তারিত খতিয়ান তুলে ধরেন।