দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা হাই স্কুলে বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় সিআইডির ডিআইজিকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তে অসন্তুষ্ট হওয়ায় এর আগেই ডিআইজিকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিচারপতি। শেষে আজ বুধবার মামলার শুনানিতে ডিআইজিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিন আদালতে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেয় সিআইডি। কিন্তু সেই রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট হননি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাই তিনি ডিআইজিকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানিতে ডিআইজিকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে | মুর্শিদাবাদের সুতির গোঠা হাইস্কুলে অনিমেষ তিওয়ারি নামে এক শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষকের বাবা আবার ওই গোঠা হাইস্কুলেরই প্রধান শিক্ষক। সেই মামলায় শিক্ষকের বাবাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে অনিমেষকেও। তবে তদন্তে খুশি নন বিচারপতি। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের ডিআইজি সিআইডি হাজিরা দিতে হবে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এদিন বিচারপতি খোঁজ করলে জানতে পারেন সিআইডি-র কোনও অফিসার আদালতে উপস্থিত হননি। তিনি প্রশ্ন করেন, কেন কোনও অফিসার নেই আদালতে?রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, গঙ্গারামপুরে তদন্তের কাজে গিয়েছেন সিআইডি আধিকারিকরা। এরপর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ভুয়ো নিয়োগের সন্ধান পাওয়ার পরও কীভাবে তাঁদের বেতন দিচ্ছে ট্রেজারি? এমন শিক্ষকের আসল সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই সংখ্যা খুজে বের করতেই সিআইডি-কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি। বিচারপতি বসুর মতে, এই ধরনের নিয়োগের পিছনে একটা চক্র কাজ করছে। তার খোঁজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সিআইডি-কে।