Breaking News

‘‌আমি খুব চাপে আছি’‌, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার শেষ ফোনে শুনেছিল স্বপ্নদীপের বাবা!পড়ুয়ার মৃত্যুতে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রবিবার দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে পৌঁছে দিয়ে গিয়েছিলেন ছেলেকে। তারপর বুধবার সন্ধ্যায় ছেলে ফোন করেছিল বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডু এবং মা স্বপ্না কুণ্ডুকে। স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডু তাঁদের ফোনে বলেছিল, ‘‌আমি খুব চাপে আছি বাবা। তোমরা এসে আমাকে বাঁচাও।’ রাত ৯টা নাগাদ শেষবার বাবা–মাকে ফোন করে এই কথাই বলেছিল বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। আর তারপরই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে পড়ুয়ার পরিবারে ফোনে খবর দেওয়া হয়, ছেলে অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডুর মামা অরূপ কুণ্ডু আজ, বৃহস্পতিবার এই কথাই জানালেন সংবাদমাধ্যমকে।ইতিমধ্যেই স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যাদবপুর থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাড়ির লোকের বারণ সত্ত্বেও বাংলা নিয়ে পড়বে বলে যাদবপুরে ভর্তি হয়েছিল আদতে বিজ্ঞানের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডু। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর কী ঘটেছে স্বপ্নদীপের সঙ্গে? তা নিয়েই বিস্তর ধোঁয়াশা, জট। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পরিবারের তরফে যাদবপুর থানায় দায়ের করা হয়েছে এফআইআর।
স্বপ্নদীপের বাবা জানান, মায়ের সঙ্গে শেষবার যখন স্বপ্নদীপের কথা হয়, তখন সে বলেছিল, ‘মা আমার ভীষণ ভয় করছে, আমায় বাড়ি নিয়ে যাও।’ কিন্তু কীসের ভয়? কী নিয়ে ভয়? স্বপ্নদীপের সেই ভয়ের কারণ খুঁজছে এখন পরিবার | জানা গিয়েছে, মায়ের সঙ্গে মৃত্যুর কিছু আগেই ফোনে কথা হয়েছিল। কী ধরনের কথা হয়েছিল তখন? কী কী অসুবিধার কথা মাকে জানিয়েছিল সে? পুলিশ সূত্রে খবর, হস্টেলে থাকতে খুব অসুবিধা হচ্ছে বলে মাকে জানিয়েছিল স্বপ্নদীপ। একইসঙ্গে সে বলেছিল যে তার ভয় করছে! মাকে ফোনে জানিয়েছিল, হস্টেলে থাকতে তার ভালো লাগছে না। ভয় লাগছে। সোম, মঙ্গল, বুধ হাজিরা খাতায় স্বপ্নদীপের নাম রয়েছে ঠিকই। কিন্তু স্বপ্নদীপ মনমরা ছিল। চুপচাপ ছিল। কিছু বন্ধু জিজ্ঞাসা করেছিল, কী হয়েছে? উত্তর এড়িয়ে গিয়েছে স্বপ্নদীপ। তারপরই মাকে কাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত একাধিকবার ফোন করেছিল। শেষে রাতে হস্টেলের ৩ তলার ছাদ থেকে পড়ে রহস্যমৃত্যু স্বপ্নদীপের |

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *