দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কলকাতা হাইকোর্টের স্বস্তি জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যের। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গেপাধ্যায়ের নির্দেশের একাংশ খারিজ। মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ খারিজ করল বিচারপতি সৌমেন সেনের ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মানিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি গত ২৫ জানুয়ারি মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। এদিন সেই নির্দেশও খারিজ করল ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৭ সালের এক টেট পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট না দেওয়ায় এই জরিমানা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে মানিককে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক। বৃহস্পতিবার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।গত বছর অক্টোবরে গ্রেফতারির পর থেকে মানিকের জীবেন যেন শনির দশা চলছে। তাঁর গ্রেফতারির পর গ্রেফতার হন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। তার পর ২টি মামলায় মানিককে মোটা টাকা জরিমানা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মানিক। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানির পর সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এর মধ্যে একটি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্য মামলায় মানিকের দেশ ও বিদেশে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ২টি মামলাই ছিল টেটের ফল সংক্রান্ত। পরীক্ষা দিয়েও ফল জানতে না পারায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২ পরীক্ষার্থী।প্রসঙ্গত, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এই প্রথম জরিমানার নির্দেশ নয়। এর আগেও জেলবন্দি প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে জরিমানা করেছিল আদালত। এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ তুলেছিলেন, ৮ বছর পরও পরীক্ষার ফল জানায়নি পর্ষদ। সেই সময়েও পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মানিক ভট্টাচার্যকে ২ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ।