দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ভুয়ো নথি দিয়ে স্কুল শিক্ষকের চাকরি মামলায় বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সিআইডি। এদিন আদালতে ডিআইজি সিআইডি-সহ এই মামলার অন্যান্য তদন্তকারী আধিকারিকদের হাজিরা দিতে বলেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ডিআইজি সিআইডি হাজরা না দিলেও আদালতে হাজির ছিলেন প্রধান তদন্তকারী আধিকারিকসহ তদন্তকারী দলের ৪ জন। তাঁদের উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, আমি এখনও বিশ্বাস করি, কাউকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে না।য়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সিআইডির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “কাজ না করলে তার ফল ভুগতে হবে।” তদন্তে রাজ্য কাউকে আড়াল করতে চাইছেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সিআইডির উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, “আপনাদের উপর ভরসা রেখে তদন্তের ভার সিবিআইকে না দিয়ে সিআইডিকে দিয়েছিলাম। আপনারা কি আমার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করতে চাইছেন?”বুধবার এই মামলার শুনানিতে মৌখিক ভাবে সিআইডির ডিআইজিকে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। বৃহস্পতিবার অবশ্য ডিআইজি হাই কোর্টে আসেননি। এই মামলার জন্য গঠিত সাত সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর চার জন উপস্থিত ছিলেন। বুধবারের শুনানিতে সিআইডির তরফে কেউ ছিলেন না। যা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারপতি। সিটের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে ডিআইজিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি।সিটের সাত সদস্যের নাম প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। রাজ্যের আইনজীবী জানান, সাত জনের পদমর্যাদা উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি। তিনি জানান, পরবর্তী শুনানির দিন সাত জন তদন্তকারীকেই উপস্থিত থাকতে হবে। উল্লেখ করতে হবে প্রত্যেকের নাম এবং পদমর্যাদা। প্রয়োজনে আদালত তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অগস্ট।