দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- হু হু করে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা | শুধু কলকাতা নয়, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বহু জেলার ডেঙ্গি আক্রান্তের পরিসংখ্যান | এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার | আর তা সামাল দিতে সোমবার, ছুটির দিনেও নবান্নে ডেঙ্গি নিয়ে হয়ে গেল জরুরি বৈঠক। মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর নেতৃত্বে দুটি পর্যায়ে বৈঠক হয়। প্রথম বৈঠকে উদ্বেগের শীর্ষে থাকা চার জেলাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পরে সবক’টি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। ডেঙ্গি প্রতিরোধে জেলাগুলিকে পাঁচ দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সোমবার বেলা ১১টা থেকে এই চার জেলার সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। জেলা প্রশাসনকে তাঁর নির্দেশ, জেলার হটস্পটগুলো চিহ্নিত করতে হবে। কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না। বিশেষত বাজার এলাকা, বন্ধ কলকারখানা জমা জল ও মশার আঁতুড়ঘর। তাই সেসব জায়গা অগ্রাধিকার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করে, বন্ধ কারখানার তালা ভেঙে ঢুকে জমা জল নিষ্কাশন করতে হবে। এমনই কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। সোমবারই যাদবপুরের বন্ধ হয়ে যাওয়া কৃষ্ণা গ্লাস ফ্যাক্টরিটে ড্রোন উড়িয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে।
এরপর দুপুর ১২টা থেকে সবকটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। ডেঙ্গি প্রতিরোধে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যপরীক্ষায়জোর দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। এছাড়া প্রাথমিক নির্দেশিকা অনুযায়ী, সাবধানতা অবলম্বনের কথা ফের মনে করিয়ে দেন মুখ্যসচিব। জ্বর হলে বারবার থার্মোমিটারে শরীরের তাপমাত্রা মাপা, প্যারাসিটামল ও প্রচুর জল খাওয়ার মতো প্রাথমিক চিকিৎসা বাড়িতেই করতে হবে।মশাবাহিত রোগের সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলায়। এছাড়া দমদম ও বিধাননগর পুরসভা এলাকার পরিস্থিতিও খারাপ। সেই কারণে পুরসভাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকেও যুক্ত করতে হবে ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে। জমা জল বের করার জন্য পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েক দিনে রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। ফলে শহরে এবং গ্রামাঞ্চলের রাস্তায় খানাখন্দে জল জমেছে বিস্তর। এই জমা জলই ডেঙ্গিবাহী মশার আঁতুড়ঘর। ফলে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা।