দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- বন্ধুত্ব পাতিয়ে প্রথমে ভরসা জোগানো, আর তারপর টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা। এভাবেই ‘বন্ধু’দের থেকে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে শিলিগুড়ি থেকে ফেরার এক সেনাকর্মীর স্ত্রী। ঘটনাটি শিলিগুড়ির বাগডোগরার। ১৭ জন জওয়ান-পত্নী শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বাগডোগরা থানায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত হেমা নগরবা তামাংয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। হেমার স্বামী মহেন্দ্র তামাং সেনাবাহিনীতে কর্মরত। বর্তমানে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে নিযুক্ত রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, হেমা দার্জিলিঙের গৈরিগাঁওয়ের বাসিন্দা। কিন্তু গত এক থেকে দেড় বছর ধরে তিনি শিলিগুড়ি সংলগ্ন আপার বাগডোগরার স্টালিননগরে বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন। আপার বাগডোগরায় তাঁর একটি কাপড়ের দোকানও রয়েছে।শিলিগুড়ির অন্য জওয়ান-পত্নীদের সঙ্গে হেমার ঘনিষ্ঠতা গত কয়েক মাসে বৃদ্ধি পায়। অভিযোগ, আর্মি ওয়াইফ্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের টার্গেট করা শুরু করেন তিনি। কখনও বাড়ি কেনার নাম করে, কখনও নিজের দোকানের প্রয়োজনের কথা বলে এই জওয়ান-পত্নীদের কাছ থেকে হেমা টাকা ধার নেন। কারও কাছ থেকে এক লক্ষ, কারও কাছ থেকে দুই লক্ষ, কারও কাছ থেকে আবার একযোগে ১০ লক্ষ টাকা নেন তিনি। এক থেকে তিন বছরের মধ্যে এই টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন হেমা।প্রতারিতদের অভিযোগ, টাকা চাইতে গেলেও নানা অছিলায় তা এড়িয়ে যেতেন হেমা। গত এক মাস ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না। এমনকি, হেমার ফোনও বন্ধ রয়েছে। এর পরেই বিষয়টি জানাজানি হয়। জওয়ান-পত্নীরা বুঝতে পারেন, তাঁদের অনেকের কাছ থেকেই একই কথা বলে টাকা নিয়েছেন হেমা। কিন্তু ফেরত দেননি। সকলে একযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ বিষয়ে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, ‘‘অভিযোগ জমা পড়েছে। একটি মামলাও রুজু করা হয়েছে। যে হেতু এটি সেনার বিষয়, তাই সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে।’’