প্রসেনজিৎ ধর :- একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে রাজধানীর বুকে আন্দোলনের সুর চড়াচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। একইসঙ্গে পাল্টা সুর চড়াচ্ছে বিজেপি শিবিরও। শুভেন্দুর দাবি, “১০০ দিনের কাজে বাংলায় যে দুর্নীতি হয়েছে, সেটা স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে বড়।”রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এদিন বললেন, “একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়। যদি সঠিক তদন্ত হয়, তাহলে এটা দেশের সবথেকে বড় দুর্নীতি হবে বলে আমার মনে হয়। স্বাধীনতার পর এটাই সবথেকে বড় দুর্নীতিতে পরিণত হবে।” পরিসংখ্যান তুলে ধরে এদিন শুভেন্দু জানালেন, আধার কার্ডের সঙ্গে জব কার্ড লিঙ্ক করানোর আগে কী পরিস্থিতি ছিল, আর এখন কী পরিস্থিতি হয়েছে। শুভেন্দুর বক্তব্য, জব কার্ড ও আধার কার্ডের লিঙ্ক করানোর আগে (২০২২ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত) বাংলায় জব কার্ড হোল্ডার ছিলেন ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫৭ জন। আর আধার লিঙ্ক করানোর পর (২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) জব কার্ড হোল্ডারের সংখ্যা কমে হয়েছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ১৩ হাজার ৪৩২ জন। আর এখানেই বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলে সন্দেহ বিরোধী দলনেতার। বললেন, “এক কোটিরও বেশি ভুয়ো জবকার্ডে অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকা সাইফন হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে।”তৃণমূলের ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের শুরু থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে আসছেন, মাত্র কয়েকজনের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের টাকা আটকে রাখা যায় না। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, এই দুর্নীতির পরিমাণটা পাহাড়প্রমাণ। তিনি দাবি করেন, “আধার ও জব কার্ড সংযুক্তকরণের আগে এবং পরের হিসাব দেখলে দেখা যাবে সেই সময় ১ কোটি ৩২ লক্ষের বেশি কার্ড ডিলিট করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি কার্ড ডিলিট করার কারণ ‘অজানা’ হিসাবে দেখানো হয়েছে। সব ভুয়ো জবকার্ড।’কিন্তু শুভেন্দু যতই ‘ভুয়ো’ জবকার্ড নিয়ে দিল্লিতে বসে বাজার গরম করুন না কেন, সরকারি হিসাবে ১০০ দিনের কাজে বাংলার পরিসংখ্যান বেশ উজ্বল। কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দেওয়ার আগে পর্যন্ত কয়েক বছর ১০০ দিনের কাজে দেশের সেরা হয়েছে বাংলা। আবার ১০০ দিনের দুর্নীতি খুঁজতে কেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় দলও এসেছে। তাদের রিপোর্টও জমা পড়েছে। কিন্তু সেসব রিপোর্টে দুর্নীতির বিশেষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি।