দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী দিল্লি একাধিক জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। দিল্লি শহর-সহ উত্তর ভারতের কম্পনের রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.২। ভূমিকম্পের উৎস স্থান নেপাল। ১ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলে কম্পন। কম্পনের জেরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় বিভিন্ন এলাকায়। বাসিন্দারা তাঁদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তরের একাধিক রাজ্যে।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ২ টো ৫৩ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দিল্লি-NCR-এ। সূত্রের খবর, ভূমিকম্পের কেন্দ্র আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ। যদিও পরে জানা যায়, নেপাল হল এর উৎসভূমি। প্রাথমিকভাবে খবর, নেপালেও ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৬.২। দুপুর ২,২৫ মিনিট নাগাদ সেখানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে এই খবর সামনে আনা হয়েছে।
ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পরই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লিতে সাধারণ মানুষ ঘর-বাড়ি ও অফিস-আদালত থেকে বের হয়ে খোলা জায়গায় চলে আসে। দিল্লিতে যে ভূমিকম্প হয়েছে তার তীব্রতা ছিল ৪.৬।কম্পনের কেন্দ্র নেপালের ভাতেখোলা থেকে ২ কিলোমিটার দূরে, মাটির পাঁচ কিলোমিটার কিলোমিটার গভীরে। পরপর দুটো ভূমিকম্প হয় নেপালে। তাও মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে। প্রথম ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৬। ২ টো বেজে ২৫ মিনিট নাগাদ ভূমি কেঁপে ওঠে। তারপর দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি হয় ২.৫১ মিনিট নাগাদ। যার তীব্রতা ছিল ৬.২। গতকাল, সোমবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অনুভূত হল কম্পন। ধূপগুড়ি, কোচবিহার আলিপুরদুয়ার, মালদা বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জে-সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় কম্পন অনুভূত হল। শিলিগুড়িতে রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৫.৩ ধরা পড়েছে।ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশি রাজ্য আসামেও। আসাম মেঘালয় সীমান্ত এলাকায় ভূমিকম্প। বাংলাদেশ লাগোয়া আসামের এই এলাকায় ভূমিকম্পে তীব্রতা ৫.১।