Breaking News

শাহের পুলিশের হাতে আটক হয়ে রাজভবন চলো অভিযানের প্রস্তুতি শুরু তৃণমূলের,ফোনে নির্দেশ বিভিন্ন জেলায়!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদদের আটক করা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। পরে রাতে পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তাঁরা মাথা নত করবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেন অভিষেক। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির ফুটবোর্ডে উঠে সমর্থকদের উদ্দেশে স্লোগান দিচ্ছেন তিনি। সেই ছবিরই ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘জমিদারদের কাছে মাথা নত করবে না বাংলা।’ এদিকে দিল্লিতে শাহের পুলিশের হাতে ‘হেনস্থার’ শিকার হওয়ার প্রতিবাদে কলকাতায় কর্মসূচি পালনের ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন তিনি। ওই দিন বেলা ৩টের সময় রাজভবন অভিযান হবে বলে ঘোষণা করেন অভিষেক।বৃহস্পতিবার এক লক্ষ কর্মী-সমর্থক নিয়ে ‘রাজভবন চলো’ অভিযান করবে তৃণমূল।মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে অভিষেক বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখা না-করে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি। আমরা তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করে বাংলার বঞ্চিত মানুষের কথা বলব। যে ৫০ লক্ষ চিঠি আমরা নিয়ে এসেছিলাম, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তা নেননি। তাই সেই চিঠিগুলি আমরা রাজ্যপালকে দেব।’’অভিষেকের ওই ঘোষণার পর রাত থেকেই শুরু হয় অভিযানের প্রস্তুতির পালা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল দেশের দুই বড় শহরে এর আগে কখনও সমাবেশ করেছে বলে দলের প্রবীণ নেতারা মনে করতে পারছেন না। কিন্তু কর্মসূচির ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। সেই কর্মসূচি ‘সফল’ করতেই হবে। তাই রাজভবনে জনসমাগমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন ও জেলা নেতৃত্বকে। নির্দেশ পাওয়ামাত্রই জেলায় জেলায় কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। দলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কলকাতা-সহ তৎসংলগ্ন জেলা হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নেতা-কর্মীদের রাজভবনে জমায়েত করার নির্দেশ দিয়েছে। এমনই জানিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি সফল করতে মূলত দক্ষিণবঙ্গের শহর লাগোয়া জেলাগুলির ওপরই জোর দিচ্ছে তৃণমূল। দলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘‘বুধবার কলকাতায় ফিরে আবার বৃহস্পতিবার কর্মসূচি করা একটু কষ্টসাধ্য ছিল। তাই দিল্লি থেকেই সব আয়োজন শুরু করে দিতে হয়েছে। কলকাতা ও তার কাছের জেলাগুলির নেতা-কর্মীদেরই মূলত এই সমাবেশে জমায়েত করতে বলা হয়েছে। তবে অন্য কোনও জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা আসতে চান দল তাঁদেরও স্বাগত জানাবে।’’ উল্লেখ্য, ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই সেই সমস্ত জেলাকে এই কর্মসূচি থেকে বাদ রাখা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *