প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করতে গিয়েছিলেন এক বিজেপি নেতা। আর্জি জানিয়েছিলেন, জরুরি ভিত্তিতে শোনা হোক মামলাটি। কিন্তু তাঁর সেই আর্জি শোনা মাত্র বাতিল করল হাইকোর্ট। সোমবার মামলাটি ওঠে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি শোনার আর্জি জানাতেই তিনি জানিয়ে দেন, কোনও ভাবেই তা সম্ভব নয়।দিল্লি থেকেই রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো ৫ অক্টোবর রাজভবন যান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক। তবে ঘটনাচক্রে সেদিন সকালেই উত্তরবঙ্গ যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের দেখা না পেয়েই রাজভবনের সামনে ধর্নার ডাক দেন অভিষেক। সাফ জানান, দেখা না করে তাঁরা ফিরবেন না। ৫ অক্টোবর থেকে রাজভবনের বাইরে ধরনা চালাচ্ছে তৃণমূল। এ নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার ধর্না নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে কড়া চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজভবন।এবার এই ধরনার জল গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে। ১৪৪ ধারা জারি সত্ত্বেও কীভাবে ধর্না? প্রসঙ্গত, দিল্লি ও উত্তরবঙ্গ সফর সেরে রবিবার রাতে কলকাতায় ফিরেছেন তিনি। সোমবার বিকেল ৪ টেয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর। রাজভবনে চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সেখানে ধরনা দিতে পারেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা, প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। মুখ্যসচিবের কাছে কৈফিয়ৎ তলব করেছেন খোদ রাজ্যপাল। সেই ধর্না মঞ্চ সরাতে রাজ্য প্রশাসনের তরফে কী কী ব্যবস্থা করা হয়েছে, এখানে কোন ধারার আইন ভাঙা হয়েছে, সব কিছুই উল্লেখ করে মুখ্যসচিবকে জানাতে বলে রাজ্যপাল। তরুণজ্যোতি তিওয়ারির ওই আবেদন সোমবার শুনানির জন্য উঠেছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে শোনার কথা বলতেই প্রধান বিচারপতি আপত্তি তোলেন। এরপরেই তিনি জানিয়ে দেন জরুরি ভিত্তিতে এই মামলা শোনা সম্ভব নয়। যদিও জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি শুনানির আবেদন মঞ্জুর না হলেও অভিষেকের বিরুদ্ধে ওই মামলাটি দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার তার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর।