দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বিয়ের দেড় বছরের মধ্যে পেট ফুলতে শুরু করেছিল গৃহবধূর। স্বাভাবিকভাবেই অনেকে ভেবেছিলেন হয়ত তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। কিন্তু, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কাছে যেতেই জানা জানতে পারেন, সেটি অন্তঃসত্ত্বার কারণে নয়, আসলে গৃহবধূর পেটে রয়েছে একটি বড় টিউমার। ৩ অক্টোবর ওই গৃহবধূর অস্ত্রোপচার করে টিউমারটি বের করেছেন চিকিৎসকরা, যার ওজন হল ৬ কিলগ্রাম। অস্ত্রোপচারের পর আপাতত সুস্থ রয়েছেন গৃহবধূ। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।ওই গৃহবধূর নাম প্রিয়াঙ্কা তালুকদার। তিনি পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। ২০২২ সালে তাঁর বিয়ে হয়। আর বিয়ের পর থেকে তিনি যাদবপুরে স্বামীর সঙ্গেই থাকেন। গত মে মাস থেকে গৃহবধূর পেট ফুলতে শুরু করে। প্রথমে ওই গৃহবধূ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। তবে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ায় তিনি শরীর চর্চায় মনোযোগী হয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরে কিছুতেই পেট কমছিল না। তারপরে বাঁদিকের ফোলা অংশটি আরও শক্ত হতে শুরু করে এবং পেট ফোলা অব্যাহত থাকে। তারওপর অল্প কিছু খেলেই তাঁর মনে হতো পেট ভরে গিয়েছে। এমনকী জলও তিনি বেশি খেতে পারতেন না। সেই সময় পরিবারের সকলে ভেবেছিলেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা রয়েছেন। সেইমতো, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে তাঁকে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই তাদের ভুল ভাঙে। চিকিৎসক জানান, গৃহবধূর পেটে একটি বড় টিউমার রয়েছে। আর সেই কারণে পেট ফুলছে। শেষে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন গৃহবধূ। সেখানেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়।গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল শল্য চিকিৎসক সঞ্জয় মণ্ডল প্রায় চার ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে বার করেন সেই টিউমার। যার ওজন প্রায় ছয় কিলোগ্রাম। দেখতে অনেকটাই কুমড়োর মতো।৩ অক্টোবর এক বেসরকারি হাসপাতালে তরুণীর অস্ত্রোপচার হয়। শনিবার তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। সঞ্জয়ের কথায়, ‘‘বায়োপসি রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিপদের সব দিক ভেবেই আগাম পরিকল্পনা করা হয়।’’ তরুণী বলছেন, ‘‘কিছু সমস্যা হচ্ছে ভেবেই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। ভগবানের মতো তাঁরা আমাকে বাঁচিয়েছেন। আগাগোড়া আমার পরিবারও পাশে থেকেছে।’’