প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-জেলা কমিটি ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আর সেখানে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা সাংগঠনিকে আমূল রদবদল। আগামী বছর লোকসভা ভোট। তার আগে এই রদবদল নিয়ে জোর চর্চা শুরু। জেলা সংগঠন থেকে বাদ পড়লেন সৌমেন মহাপাত্র। তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে তাঁকে। বদলে রাজ্য সম্পাদক পদে এসেছেন তিনি। সৌমেন মহাপাত্রের জায়গায় আনা হয়েছে কোলাঘাটের অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি আবার জেলার রাজনীতিতে মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরীর বিপক্ষ গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রিরও অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের বিরুদ্ধে। এবার তাঁকে তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। বদলে সেই পদে এলেন অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার তমলুকের চেয়ারপার্সন পদ থেকে নন্দীগ্রামের পীযুষকান্তি ভুঁইয়াকে সরিয়ে নিযুক্ত হলেন তমলুকের বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা চিত্তরঞ্জন মাইতি।কাঁথি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান করা হয়েছে এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতিকে। আর কাঁথি জেলা সভাপতি পদে তরুণ মাইতির জায়গায় এলেন পীযূষকান্তি পণ্ডা।আগামী লোকসভা ভোটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দু’টি কেন্দ্র কাঁথি ও তমলুক। এই দুই কেন্দ্র আগলাতে তৃণমূল যেমন সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে, তেমনই বিজেপিও এই দুই কেন্দ্র জিততে মরিয়া। এই দুই কেন্দ্রের সাংসদ অধিকারী পরিবারের দুই সদস্য শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। তমলুক, কাঁথি জিততে বিজেপিও যে ঝাঁপাবে তা বলাই বাহুল্য। ভোটের আগে তৃণমূলের নতুন সাংগঠনিক পদাধিকারীরা দলের সকলকে একসঙ্গে নিয়ে সংগঠন কতটা শক্তিশালী করে তুলতে পারেন, এখন সেটাই দেখার।