দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-
বিধানসভা ভবনে এসে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে সেই সাক্ষাৎ-পর্বে গরহাজির রইলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ পৌঁছনোর মিনিট চল্লিশেক আগেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু বিধানসভা ভবন ছেড়ে চলে যান |
ফের বঙ্গ বিজেপিতে দ্বন্দ্বের সুর। বলা ভালো, শুভেন্দু-দিলীপ মতানৈক্য আরও একবার প্রকাশ্যে। বিধানসভা অধিবেশন ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি তরজায় তপ্ত পরিস্থিতি। অশালীন আচরণের অভিযোগে গোটা শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ডেড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পালটায় এবার মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু দলের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ | তিনি এ বিষয়ে স্পষ্টতই দ্বিমত পোষণ করে জানান, বয়কট রাজনীতি, কালচার বন্ধ হওয়া উচিত |
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে খড়্গপুর সদর আসনে জয়ী বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিতে বিধানসভা ভবনে ‘প্রত্যাবর্তনের কারণ’ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভা অধিবেশনের সময়তেই সংসদের অধিবেশন চলে। তাই ইচ্ছে হলেও আসতে পারি না। এ বার ৪ তারিখ (সোমবার) থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হবে। তার আগে শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন চলছে শুনে বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে চলে এলাম।’’সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীকে বিজেপির বয়কট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানান, ”এই বয়কটের রাজনীতি, কালচার বদল হওয়া দরকার। এভাবে বিধানসভার গরিমা কমে যাচ্ছে। আমাকেও তো বয়কট করা হয়েছিল। রাস্তায়-ঘাটে আমাকে কালো পতাকা দেখানো হয়, বিক্ষোভ দেখানো হয়। পশ্চিমবঙ্গের কালচার শুধু বয়কটের রাজনীতি। এটা বদল হওয়ার দরকার। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আশা করি, এর বদল হবে।”