প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-সামনেই লোকসভা নির্বাচন | বঙ্গে রাজ্য নেতাদের উপর আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বাংলায় দাঁড়িয়ে লোকসভায় ৩৫ আসনের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যপূরণে এবার পেশাদার সংস্থার হাত ধরছে বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক। একইরকম ভাবে অতীতে একাধিক ভোট-রাজ্যে এমন বেসরকারি সংস্থার উপর নির্ভর করে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছে বিজেপিও। তবে রাজ্যনেতাদের তথ্যে নির্ভর করে একুশে আশানরূপ ফল হয়নি। তাই শুধু শুভেন্দু-সুকান্তদের রিপোর্টের উপর আস্থা না রেখে এবার পুরোপুরি পেশাদার সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি| শোনা যাচ্ছে, ভোটকুশলী সংস্থা জার্ভিস টেকনোলজি অ্যান্ড কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় নিজেদের সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছে।
সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপি একটি প্রস্তাবিত প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছে বলে পদ্ম শিবির সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, সেই তালিকায় নাম রয়েছে ৪৫ জনের, বাদ পড়েছে বাংলার ৭ সাংসদ।পশ্চিমবঙ্গে মোট ৪২টি আসন রয়েছে লোকসভায়। সেই আসনগুলির জন্য ৪৫ জনের নাম প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। কোনও কোনও আসনের জন্য ২ জন করে প্রার্থী বেছে নেওয়া হয়েছে। তিন কেন্দ্রে না এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি পদ্ম শিবির। সূত্রের খবর, অন্তত ৬ জন বিধায়ককে লোকসভায় প্রার্থী করা হতে পারে। ১২ জন মহিলাকেও রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত প্রার্থী তালিকায়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ওই তালিকা পর্যালোচনা করবে। বেসরকারি এজেন্সির সঙ্গে কথা বলবে দল। তারপর চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে।সূত্রের খবর, কোনও তারকা নেই ওই তালিকায়। যাঁরা সারা বছর বিজেপির কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাঁদেরকেই জায়গা দেওয়া হয়েছে। এলাকার সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই, এরকম নাম বাদ পড়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।বর্তমানে বাংলা থেকে বিজেপির সাংসদ হিসেবে রয়েছেন কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক, আলিপুরদুয়ারে জন বার্লা, জলপাইগুড়ি জয়ন্ত কুমার রায়, দার্জিলিং-এর রাজু বিস্তা, রায়গঞ্জের দেবশ্রী চৌধুরী, বালুরঘাটের সুকান্ত মজুমদার,মালদহ উত্তরে খগেন মুর্মু, রাণাঘাটের জগন্নাথ সরকার, বনগাঁর শান্তনু ঠাকুর, হুগলির লকেট চট্টোপাধ্যায়, ঝাড়গ্রামের কুনার হেমব্রম, মেদিনীপুরের দিলীপ ঘোষ, পুরুলিয়ায় জ্যোতির্ময় মাহাত, বাঁকুড়া সুভাষ সরকার, বিষ্ণপুরের সৌমিত্র খাঁ, বর্ধমান-দুর্গাপুরের এসএস আলুওয়ালিয়া।