দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বড়দিনে আবার সক্রিয় ইডি।আর এদিন সকালেই সক্রিয় হয়ে উঠল ইডি। তাই শুরু হয়েছে ধরপাকড়। আজ, সোমবার ইডির অফিসাররা কামারহাটি পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা দেন। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে নগদ ১৪ লক্ষ টাকা এবং ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা মূল্যের হিরে ও সোনার গয়না। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ দেখে চক্ষু চড়কগাছ অফিসারদের। কারণ একজন ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে এত বিপুল সম্পদ খুব সহজে আসা সম্ভব নয় তা বুঝতে পারছেন তদন্তকারীরা। তাই এই বিষয়টি সামনে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।কামারহাটি পুরসভার চিফ ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্ত। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির নজরে রয়েছেন তিনি। গত ৫ অক্টোবর বাগুইআটির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। এবার তাঁর কামারহাটির বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা।
সূত্রের খবর, তল্লাশিতে তাঁর বাড়ি থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নগদ ও ১ কোটি ৬৩ লক্ষ মূল্যের হিরে ও সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে। এমনকী, সম্পত্তির ১৩০০ পৃষ্ঠার নথিও মিলেছে বলেও খবর।জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি পেয়েছিলেন তমাল। তার পর থেকেই রকেটের গতিতে তাঁর উত্থান। অভিযোগ, পুরসভায় নিয়োগে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। চাকরি পাওয়ার মাত্র ৬ বছরের মধ্যে বিপুল সম্পত্তির পরিমাণ তমালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে সিলমোহর দিচ্ছে বলেই ধারনা তদন্তকারীদের। ইতিপূর্বে তমাল দত্তের বাগুইআটির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। এমনকী, সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এবার সেই ই়ঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হল।বাড়ি দেখে বোঝার উপায় ছিল না এত পরিমাণ সম্পত্তি সেখানে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তাছাড়া কেমন করে এত সম্পত্তি ৬ বছরে বানালেন? যে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি বলেই সূত্রের খবর। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এত কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন কী করে? উঠছে প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চান ইডির অফিসাররা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা এবং গয়না কোথা থেকে পেলেন? তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। কোনও বড় দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যোগ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।