প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-দুর্নীতি ইস্যুতে এবার গুরুতর অভিযোগ সামনে আনলেন খোদ তৃণমূলের বিধায়ক। দুর্নীতির কথা জেনেও কেন মুখ খুলছে না দলের একাংশ? কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলে সরব হলেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।তাঁর লেখায় ফুলন দেবী কে? এ নিয়ে তীব্র আলোড়িত রাজ্য। হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক কাকে করলেন ইঙ্গিত?তাঁর দাবি, দিনের পর দিন তিনি এই ইস্যুতে মুখ খুললেও কেউ তাতে গুরুত্ব দেয়নি। তাঁর কথায়, ‘আগে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’
এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তাঁর দাবি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই সব দুর্নীতি, অন্যায় সামনে এনেছেন। তাই সেই বিচারপতির দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেছেন বিধায়ক। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করেছেন বলাগড়ের বিধায়ক।তিনি লিখেছেন, বলাগড়বাসী আপামর জনগণ, আমি আপনাদের সেবক ভাই বন্ধু, আপনাদের জ্ঞাতার্থে অতি মনোদুঃখে জানাচ্ছি, বিগত কয়েক দিন ধরে যা চলছে আপনারা সবাই জ্ঞাত আছেন। আর কেন আমি বলাগড় বিধানসভা থেকে দূরে বসে আছি সেই কদাকার ঘটনাক্রম নিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি রাত আটটার সময় আমি ফেসবুক লাইভ করতে চলেছি। বলা চলে শেষ জবাব দিতে চলেছি।তার এই ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে জল্পনা তুঙ্গে।দলের এক যুবনেত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। তার পোস্ট থেকে স্পষ্ট তিনি দলের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে চলেছেন। তিনি দলের এক প্রতিনিধি ও তার স্বামীর কাজকর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। দলের এই প্রতিনিধি ও তার স্বামী এলাকায় নানা দুর্নীতির সাথে যুক্ত। সেখানে বালি চুরি থেকে শুরু করে চাল চুরি। নানান ধরনের কাজের সাথে যুক্ত। তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি তার। শুধু তাই নয় তার সিকিউরিটি তুলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।এই ব্যাপারটি হুমকির দিকে নির্দেশ করছে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে সমস্ত স্তরে স্তরে তিনি অভিযোগ করেছেন। তাও কোনো ফল মেলেনি। মনোরঞ্জন ব্যাপারী অভিযোগ করছেন যুবনেত্রী রুনা খাতুনের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,দুর্নীতির অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে হয় জানাতে হয় কোন বিষয় দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলাগড়ের প্রার্থী হয়েছিলেন, বলাগড়ের বাসিন্দারা মিলে ভোট করা হয়েছিল। আমাদের ব্লকের কোন নেতৃত্বই ওনার কাছে ভালো থাকতে পারেনি কখনো। উনি আবহাওয়ার মতো পরিবর্তিত হন কাজ হয়ে গেলে মানুষকে ছুড়ে ফেলে দেয়। এটাই ওনার চরিত্র। উনি যখন তখন নাম নিয়ে যাকে তাকে অপমান করেন।রুনা খাতুন বলেন, সংগঠনে জেলা নেতৃত্বরা আছেন, জেলা চেয়ারম্যান আছেন তাদের প্রশ্ন করা হোক রুনা খাতুন এসব করেছেন কিনা। এটা যদি আমি করি তাহলে কার নেতৃত্বে করলাম নির্দিষ্ট নাম করুক। এটা তো একার পক্ষে আমার সম্ভব নয়। উনি নিজে কাদা ছুঁড়েছেন।