দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে ডলফিন-সহ অন্যান্য মাছ, আর মাঝখান দিয়ে ছুটে যাচ্ছে মেট্রো – গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু করা হবে বলে যখন ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন অনেকের মনেই সেই একটা স্বপ্নের যাত্রাপথ ছবি তৈরি হয়েছিল। আর সেই স্বপ্ন এবার সত্যি হতে চলেছে। গঙ্গার তলা দিয়ে যখন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ছুটে যাবে, তখন জানালা দিয়েই উঁকি মারলেই চারিদিকে নীল জল দেখতে পাবেন। হাওড়া স্টেশন থেকে মহাকরণ স্টেশনে ঢোকার মাঝে গঙ্গার নিচের ৫২০ মিটার অংশ যাতায়াতের সময় এই ভিন্ন অনুভূতি মিলবে। যা পেরোতে সময় লাগবে ৪৫ সেকেন্ড। যাত্রীরা হুঁশ করে পেরিয়ে যাবেন গঙ্গা। ঘন নীল আলোয় সজ্জিত হবে সুড়ঙ্গ। ট্রেন যাওয়ার সময় মনে হবে জলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।
অদ্ভুত বাদ্যযন্ত্রের শব্দ হবে। একেবারে রাজকীয় অনুভূতি। সুড়ঙ্গের অন্যান্য অংশে সাদা আলো থাকলেও পশ্চিম দিকের হাওড়ার ডিআরএম ভবন সংলগ্ন অংশ থেকে পূর্ব দিকের স্ট্র্যান্ড রোড পর্যন্ত অংশের জোড়া সুড়ঙ্গে ওই নীল রঙের আলো বসেছে। থাকছে সাদা আলোও। পৃথিবীর বহু দেশে সমুদ্রের জলের গভীরের দুনিয়া দেখাতে স্বচ্ছ কাচের সুড়ঙ্গ রয়েছে। সেখানে এক বার ঢুকে পড়লে চার পাশ বিরাট অ্যাকোয়ারিয়ামের মতো মনে হয়। টিকিট কেটে অনেকেই সে সব দেখতে যান। এখানেও তেমনটাই হতে চলেছে।কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছেন, ‘হুগলি নদীর নীচ দিয়ে যে ৫২০ মিটারের টানেল তৈরি করা হয়েছে, সেটা দিয়ে যাতায়াতের সময় যাত্রীদের যাতে একটা অভাবনীয় অনুভূতি হয়, সেটার জন্য নয়া উদ্যোগ নিয়েছে মেট্রো রেলওয়ে। এই টানেল অতিক্রম করতে ৪৫ সেকেন্ড লাগবে। এই যাত্রাপথ স্মরণীয় করে রাখতে সেই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই অংশটি ঘন নীল দিয়ে আলো সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। মেট্রোয় করে যাওয়ার সময় যাত্রীদের মনে হবে যে ঘন নীল জলরাশির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। বড়-বড় মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুরোটা আলো দিয়ে সাজানো হচ্ছে। এছাড়াও শব্দের মাধ্যমে নদীর আবহ তৈরি করা হবে।’