প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির হাতে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এখানেই শেষ নয় ইডির আরও দাবি, শংকর আঢ্যর সংস্থার মাধ্যমে ২ হাজার কোটি টাকা দুবাই এবং বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় অপরাধ নয় বলেই পালটা সওয়াল বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আইনজীবীর।১৬ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার হন শংকর আঢ্য। শনিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। আদালতে ইডির দাবি, রেশনে মোট ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ধৃত শংকর আঢ্যর নিজস্ব ৯০টি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় অফিস নিয়ন্ত্রণ করেন বলেও দাবি ইডির। এই অফিসগুলির মাধ্যমে মোট ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিময় হয়েছে।এদিন আদালতে ইডি বলে, শংকর আঢ্যর ১৯টি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসা রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের নামে তিনি দুর্নীতির ২০০০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এর মধ্যে ২৭০০ কোটি টাকা গিয়েছে দুবাইয়ে। এই টাকার মধ্যে ৯ – ১০ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতির। সীমান্তবর্তী এলাকায় শংকর আঢ্যর নেতৃত্বে বিদেশে টাকা পাচারের একটি চক্র চলে বলে জানিয়েছে ইডি। হাওয়ালার মাধ্যমেও টাকা যায় বিদেশে।রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রথমে ১৫ কোটি টাকার দুর্নীতির হদিশ পেয়েছিল ইডি। জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর সেই অংক বেড়ে হয় ৪৫০ কোটি। এবার ইডির মুখে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির কথা শুনে বিচারক এজলাসে বলেন, কে বলবে পশ্চিমবঙ্গ একটা গরিব রাজ্য!