Breaking News

উত্তরবঙ্গে ‘ডেভিল স্ট্রাইক’ চালাল বায়ুসেনা!মহড়ায় অংশ নিয়েছিলেন বায়ুসেনার ১০০০ দক্ষ প্যারাট্রুপার

প্রসেনজিৎ ধর :- ভারত-চিন সীমান্তের দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বিশেষ করে বিগত কয়েক বছরের ঘটনা পরম্পরা যে পথে এগিয়েছে, তাতে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তের এপারে বড়সড় সামরিক মহড়া চালাল ভারতীয় বায়ুসেনা। মহড়ার মূল লক্ষ্য হল, আকাশ পথে ভারতের সামরিক শক্তিকে আরও একবার পরখ করে নেওয়া। উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় টানা ছ’দিন ধরে চলল বায়ুসেনার এই বিশেষ মহড়া। ২২ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মহড়ার আনুষ্ঠানিক নাম ছিল ‘ডেভিল স্ট্রাইক’। বায়ুসেনার অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলি অংশ নিয়েছিল এই সামরিক মহড়ায়। মহড়া চলেছে গোটা উত্তরবঙ্গের বায়ুসেনা ঘাঁটি জুড়ে। বায়ুসেনার এই ‘ডেভিল স্ট্রাইক’ মহড়ায় অংশ নিয়েছিলেন বায়ুসেনার মোট এক হাজার জন দক্ষ প্যারাট্রুপার। ৩৬ হাজার ফুট উঁচু থেকে একে একে বিমান থেকে ঝাঁপ দিলেন বায়ুসেনার লড়াকু বাজপাখিরা।

মহড়ায় অংশ নিয়েছিল বায়ুসেনার সব প্রথম সারির যুদ্ধবিমান। এন ৩২, সুখোই ৩০, রাফাল, জে ৩০ সুপার হারকিউলিস, অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং হেলিকপ্টার ছিল মহড়ায়।মহড়ার লক্ষ্য ছিল বায়ুসেনা বাহিনীর অপারেশনের পুরো স্পেকট্রাম অনুশীলন করা যাতে সৈন্যদের অন্তর্ভুক্তি, ভারী অস্ত্র, সরঞ্জাম এবং রসদ পুনরায় সরবরাহ, উচ্চ মূল্যের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা, স্থল বাহিনীর অগ্রগতির এরিয়াল অন্তর্ভুক্ত করা হয়।একইসঙ্গে, আধুনিক সমরাস্ত্রবাহী যানও অংশ নিয়েছিল এই সামরিক মহড়ায়। বায়ুসেনার কর্তাদের কথায়, এই মহড়ার অন্যতম বড় সাফল্য হল ইলেকট্রনিক্স ওয়ারফেয়ারের ব্যবহার। কারণ বর্তমান সময়ে যে কোনও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ইলেকট্রনিক্স ওয়ারফেয়ার ব্যবহার হচ্ছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার এই জাতীয় সমরাস্ত্রগুলি ব্যবহার করা হয়েছে মহড়ায় এবং শক্তি পরখ করে নেওয়া হয়েছে। এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার সবথেকে শক্তিশালী ও বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন বাহিনী ‘গরুড়’।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *