Breaking News

মোদীর বারণ!আপাতত রামমন্দিরে যাওয়া হচ্ছে না শুভেন্দু সহ বঙ্গ–বিজেপির বিধায়কদের

প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- অযোধ্যায় রামমন্দির দেখতে আপাতত যাওয়া হচ্ছে না বঙ্গ–বিজেপির বিধায়কদের। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যায় গিয়ে ১১ তারিখ ফিরে আসার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্যরা রামলালার দর্শন করতে যাবেন অযোধ্যায় বলে পরিকল্পনা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেটা এখন আর হচ্ছে না বলেই বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর।স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিষেধ করেছেন বলে সূত্রের খবর।অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন ব্যাপক জনসমাগম হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ মানুষ রামমন্দির ও রামলালার দর্শন করতে আসছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। যা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। বস্তুত, মন্দির উদ্বোধনের পরেই অযোধ্যায় লোকের ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে অযোধ্যা গিয়েছিলেন। ট্রেন এবং সড়কপথে অযোধ্যায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। এখনও সেই ভিড় কমেনি বলেই খবর।অযোধ্যার এমন পরিস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের আপাতত অযোধ্যায় আসার কর্মসূচি বাতিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ থেকে সরাসরি বিভিন্ন রাজ্যের শীর্ষনেতাদের ফোন করে আপাতত তাঁদের অযোধ্যা সফর বাতিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মর্মে বিজেপির দফতর থেকে ফোন এসেছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কাছেও।

দলের নির্দেশ পাওয়ার পরেই নিজেদের অযোধ্যা সফল বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পরিষদীয় দলের সদস্যদেরও তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের সকলের রামমন্দির দেখতে যাওয়ার কর্মসূচি ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দল থেকে আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আপাতত দলীয় নেতা-কর্মীদের অযোধ্যা যেতে নিষেধ করেছেন। তাই আমাদের অযোধ্যা সফর বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। দল যখন আবার নির্দেশ দেবে, আমরা তখনই রামমন্দির এবং রামলালাকে দেখতে যাব।’’অযোধ্যায় অত্যাধিক জনসমাগমের জেরে প্রায় নিয়ম করে সেখানে যেতে হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে। সোমবারও লখনউ থেকে অযোধ্যায় গিয়ে প্রশাসনিক কাজকর্ম খতিয়ে দেখেছেন। রামমন্দিরের পাশাপাশি অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরে গিয়েও সেখানকার পরিস্থিতি দেখে এসেছেন যোগী। মনে করা হচ্ছে, জনতার চাপ না কমলে বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের নেতা-কর্মীদের অযোধ্যায় পা রাখার অনুমতি দেবেন না।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *