দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় মাধ্যমিক পরীক্ষা। এনরোলমেন্ট সংখ্যা অনুযায়ী, প্রায় ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ছাত্রছাত্রীর ২০২৪ সালে পরীক্ষা দিচ্ছে। ২ হাজার ৬৭৫টি কেন্দ্রে এই বছর পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় পরীক্ষার্থী বাড়লেও নজরদারির সুবিধা এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা কমানো হয়েছে ১৯২টি। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রুখতে শপথবাক্য পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাসে বোর্ডের এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক–শিক্ষিকারা।সকল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, “জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসতে চলা সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে শুভকামনা জানাই। মাথা ঠান্ডা রেখে, শান্ত মনে, নিজের সাধ্য অনুযায়ী পরীক্ষা দিন। পরীক্ষা খুব ভালো হোক সকলের।” এদিকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় বদ্ধপরিকর পর্ষদ।এদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া রুখতে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রত্যেকটি প্রশ্নের ক্রমিক নম্বরে লুকিয়ে রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্রের কোড। তেমন প্রশ্নপত্রই পেয়েছে পরীক্ষার্থীরা। শুরু হয়ে গিয়েছে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। প্রশ্নপত্রের ছবি কেউ মোবাইলে তুলে ছড়িয়ে দিলে ক্রমিক সংখ্যা দেখেই সেই পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা যাবে। অভিভাবক এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য কড়া সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পর্ষদ। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, মোবাইল ফোন এবং কোনও নিষিদ্ধ জিনিস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ধরা পড়লে পরীক্ষাই বাতিল হয়ে যাবে।২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৪ লক্ষ ৫ হাজার জন ছাত্র ও প্রায় ৫ লক্ষ ১৭ হাজার ছাত্রী। তারা সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। ৯ টা ৪৫-এ তাদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে। ৯টা ৫৫-য় দেওয়া হবে উত্তরপত্র। ১০টা থেকে লেখা শুরু করবে পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। শুভেচ্ছাবার্তায় সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করার পাশাপাশি তাঁর আবেদন, “নিষিদ্ধ কোনও বস্তু নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসবে না। নিষিদ্ধ কোনও বস্তু পরীক্ষার হলে কারও কাছে পাওয়া গেলে পরীক্ষা বাতিলের মতো পদক্ষেপ নিতে হতে পারে। অভিভাবকদের কাছে একান্ত অনুরোধ, সন্তানরা মোবাইল বা অন্যান্য নিষিদ্ধ বস্তু পরীক্ষাকেন্দ্রে যেন না নিয়ে আসতে পারে সে ব্যাপারে সচেতনভাবে ব্যবস্থা নিন।”