প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা তাঁর এজলাস থেকে সরে যাওয়ায় অনেকে কালীঘাটে পুজো দিয়ে এসেছেন। শুক্রবার এজলাসে এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর এজলাস থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা সরে যাওয়ার পর এদিনই প্রথম এজলাসে বসেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চারদিন পর এজলাসে এসেই মুখ খুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘মনে হয় জেলা স্কুল পরিদর্শক ও অন্যান্যরা কালীঘাটে পুজো দিয়েছেন। এর আগে আমি যখন শ্রম সংক্রান্ত মামলার শুনানি করতাম তখন আমাকে সরানোর জন্য অনেকে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়েছিলেন বলে শুনেছি। বলেছিলেন, মা, একে সরিয়ে দেও।’ নিজের শুনানির বিষয় পরিবর্তন হওয়ার পর, প্রথমবার এজলাসে বসেই প্রতিক্রিয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
মেডিক্যালে সংরক্ষিত আসনে ভুয়ো জাতি শংসাপত্রের ভিত্তিতে ছাত্রভর্তির অভিযোগে দায়ের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায়ে মৌখিক আবেদনের ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরই দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত দেখে কলকাতা হাইকোর্ট। যার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। গত শনিবার ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করে জরুরি শুনানি করে দুই বিচারপতির রায়েও স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার ফের সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা সরানোর আবেদন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তবে বিষয়টি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এক্তিয়ারভুক্ত বলে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে সরিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। তার পর বুধ ও বৃহস্পতিবার এজলাসে বসেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।