প্রসেনজিৎ ধর :-প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে ঢেলে সাজানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন রেল স্টেশনকে। ভোল পাল্টে দেওয়া হচ্ছে স্টেশনগুলির। সোমবার অমৃত ভারত রেল স্টেশন প্রকল্পের শিলান্যাস হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। তালিকায় রয়েছে বাংলার বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন। ব্যান্ডেল, চন্দননগর, ডানকুনি, নৈহাটি, গেদে, বনগাঁ, বালুরঘাট-সহ রাজ্যের বিভিন্ন রেল স্টেশনকে আধুনিকতার মোড়কে মুড়ে ফেলা হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে এই ভার্চুয়ালি শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে ব্যান্ডেল স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।ব্যান্ডেল স্টেশনকে বিশ্বমানের করা হবে। খরচ হবে ৩০৭ কোটি টাকা। অত্যাধুনিক স্টেশন বানানো হবে ব্যান্ডেল স্টেশনকে। এর আগে ভারতে সবচেয়ে বড় নন ইন্টারলকিংয়ের কাজও এখানেই সম্পন্ন হয়েছে। ব্যান্ডেল-সহ মোট ১৭ টি স্টেশনের পরিকাঠামো বদল হবে এই প্রকল্পের অধীনে। ৫৫৪ টি স্টেশনে রোড ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস তৈরি হবে। দেশের ২১৩৯ টি স্টেশনে এই অনুষ্ঠান হবে এক সঙ্গে।এর পাশাপাশি চন্দননগর স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য খরচ হবে ১৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ডানকুনি স্টেশনে নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্য খরচ হবে ১৫ কোটি ৬ লাখ টাকা।ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় গেদে স্টেশনকেও ঢেলে সাজানো হবে। এটি হল বাংলাদেশ যাওয়ার রেলপথে ভারতের প্রান্তিক স্টেশন। গেদে স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য খরচ হবে প্রায় ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বনগাঁ স্টেশনকে সাজিয়ে তুলতে খরচ করা হচ্ছে প্রায় ২৮ কোটি টাকা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট স্টেশনকে নতুন করে সাজাতে প্রায় ২৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।রেল সূত্রে খবর, এই অমৃত ভারত রেল স্টেশনের প্রকল্পের আওতায় ডানকুনি স্টেশনকে সৌন্দর্যায়নের ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখানে চলমান সিড়ি থেকে শুরু করে ফুড কোর্ট, স্টেশন চত্বরে ঢোকা ও বেরনোর জন্য আলাদা যাতায়াতের পথ-সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হবে। এর পাশাপাশি উন্নতমানের পার্কিং-এর ব্যবস্থাও রাখা হবে এখানে। যাত্রী পরিষেবাকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেওয়া হবে এই অমৃত ভারত রেল স্টেশন প্রকল্পের আওতায়।