প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-শিলিগুড়ির কাওয়াখালি ময়দানে মোদীর সভায় প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রথমবার কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে রাজনৈতিক বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসকে দুবৃত্তের দল হিসেবে উল্লেখ করে এবার লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে একটিও ভোট না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই অভিজিৎই এবার প্রথম বক্তব্য রাখলেন মোদীর সভায়। শুরুতেই থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে শানালেন অল আউট অ্যাটাক। সাফ বললেন, ‘তৃণমূলকে একটা ভোটও নয়’। ছাব্বিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে বিদায় দিতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরুর প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত অভিজিতের। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি সদ্য বিজেপিতে একজন কর্মী হিসাবে যোগ দিয়েছি। কিছু কথা আমার বলার আছে সেই প্রসঙ্গে। এক রাজ্যে বাস করি যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে একটা দল যাদের নাম আমি মুখেও আনতে চাই না। কারণ এই দলটি সম্পূর্ণ দুর্বৃত্ত দ্বারা গঠিত। আমি যখন বিভিন্ন মামলা শুনছিলাম বিচারপতি হিসাবে তখন আমার চোখে ধরা পড়েছিল সে কী ভয়ানক দুর্নীতি। যা ধরিয়ে না দিলে বুঝতে পারবেন না।” শিক্ষা থেকে খাদ্য দুর্নীতি নিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “আজও বহু চাকরিপ্রার্থী যাঁরা অনেক বেশি নম্বর অর্জন করেছেন তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে যাঁরা অনেক কম নম্বর পেয়ে বেশ কিছু টাকা দিয়ে চাকরিটা কিনেছেন তাঁদের। ফলে এই যে দুর্বৃত্তরা নিজেদের পকেটে টাকা ঢুকিয়েছে, নিজেদের দৌরাত্ম্যে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়ার রাস্তায় হেঁটেছেন। তারপরে আসে খাদ্য দুর্নীতি।” সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, “আজকে এখানে শপথ নিয়ে যান। তৃণমূলকে একটা ভোটও নয়। আমাদের ৪২ এর মধ্যে ৪২ আসনই দখল করতে হবে। যাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওরা মুছে যায়। তৃণমূল থেকে বহু নেতা চলে যাচ্ছেন। দু-একজন ভাল নেতা থেকে থাকলে তাঁরাও বেরিয়ে যাচ্ছেন। দলে আর থাকা যাচ্ছে না।” এলাকায় তৃণমূল বিরোধী প্রচারে জোর দেওয়ার কথাও শোনা গেল অভিজিতের গলায়। বলেন, “শপথ নিন। এলাকায় প্রচার করুন। তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়। ওরা নারী নির্যাতন করে। সন্দেশখালির ঘটনা তো জানেন। ওদের একটা ভোটও নয়। এই শপথ আমাদের নিতেই হবে। যাতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাদের বিদায়ের পথটা দেখিয়ে দেওয়া যায়। তাই এই লোকসভা নির্বাচন থেকে তাঁর উদ্যোগ নিতে হবে।”