Breaking News

‘মিষ্টি দই-লুচি-আলু পোস্তর মতো র‍্যালিও, অন্য উপায় ভাবার সময় এসেছে’,সরকারি কর্মীদের পরামর্শ প্রধান বিচারপতির!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-‘এবার অন্য কিছু উপায় ভাবার সময় এসেছে।’ সরকারি কর্মচারীদের নবান্ন বাস স্ট্যান্ডের র‍্যালি অনুমোদন দিয়ে বলল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। একক বেঞ্চের রায়ই থাকল বহাল ডিভিশন বেঞ্চে। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এভাবে র‍্যালি না করে নিজেদের বক্তব্য জানানোর অন্য উপায় ভাবার সময় এসেছে। প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য, ” মিষ্টি দই, লুচি আর আলু পোস্তর মতো র‍্যালি, এটা বাঙালির কালচার।”নবান্নের সামনে ডিএ-এর দাবিতে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদের মিছেলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বেশ কিছু শর্ত মেনেই এই মিছিল করতে হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে বুধবার মিছিল করার অনুমতি চেয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কোঅর্ডিনেশন কমিটি। আদালত তাদের শর্তসাপেক্ষে মিছিল করার অনুমতি দেয়। এর বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায়কেই বহাল রেখেছে। প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘মিষ্টি দই ও আলু পোস্তর মতো মিছিল বাঙালি সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে গিয়েছে।’ তবে এ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে বলেই তিনি মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি মিছিলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেন।মিছিল একটি রো দিয়ে যাবে|এক সারিবিশিষ্ট মিছিল হবে| মিছিলের শেষে একজন বক্তব্য রাখতে পারবেন|বেলা ১টায় রেল মিউজিয়াম থেকে মিছিল শুরু হবে| মিছিল শেষ হবে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড | মিছিল শান্তিপর্ণ করতে হবে | বাসস্ট্যান্ডে মিছিল প্রসঙ্গে এজি বলেন, ‘হাওড়া ময়দানে মিছিল আটকে দেওয়া হোক। কোনও মিছিল বাসস্ট্যান্ডে হওয়া উচিত নয়।’ এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন,’ওনারা তো বাসস্যান্ডে ধরনা দিচ্ছেন না। মামলাকারীকে জানাতে হবে তাঁরা মাইক নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে যাবেন। যেখানে মিছিল শেষ হবে সেখানে একজন বক্তব্য রাখতে পারবেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *