প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-সব মিথ্যে! দাবি শেখ শাহজাহানের। এদিন মেডিকেল করিয়ে ইডি আধিকারিকরা যখন শেখ শাহজাহানকে ইডি দফতরে নিয়ে আসেন, তখন শাহজাহানকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। সব প্রশ্নের উত্তরেই শাহজাহান বলেন, সব মিথ্যে। শেখ শাহজাহানকে প্রশ্ন করা হয় যে সাবিনা ইন্টারপ্রাইজ কি দুবাইয়ের কনসাইনমেন্টের টাকা দিত? যা উত্তরে শেখ শাহজাহন বলেন, ‘সব মিথ্যে, সব মিথ্যে।’ প্রসঙ্গত, শাহজাহানের টাকার উৎস সন্ধানে মরিয়া ইডি। শেখ সাবিনা ফিশারির ম্যানেজার মহিদুল মোল্লার বয়ানকে হাতিয়ার করেই শেখ শাহজাহানের সম্পত্তির হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। বুধবার আদালতে পেশের আগের জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। হাসপাতালে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শাহজাহান।শাহজাহানকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বললেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে।” ফের তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “কারা করছে ষড়যন্ত্র?” শাহজাহানের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘বুঝতেই পারছেন…’ এদিন বারবার একটি কথাই বলতে শোনা যাচ্ছিল শেখ শাহজাহানকে। তিনি বারবার দাবি করছিলেন, “সব মিথ্যা।”ইএসআই হাসপাতাল থেকে শারীরিক পরীক্ষার পর বেরিয়ে আসার সময়ে ফের শেখ শাহজাহানকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘জেলিয়াখালির শরিফুল মোল্লাকে চিনতেন? কেনো শরিফুলের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছিলেন?” আবারও শাহজাহান বললেন, ‘সব মিথ্যা।’মঙ্গলবারই শাহজাহানকে আদালতে পেশ করে বিস্ফোরক দাবি করে ইডি | তাদের দাবি, গত ১১ বছরে শেখ শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অন্তত ১৩৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে। সেই টাকা এসেছে শেখ সাবিনা ফিসারিজ নামে একটি মাছ চাষের সিন্ডিকেট থেকে। অভিযোগ, মাছ রফতানির আড়ালে বিপুল এই টাকা বিদেশে পাচার করেছে শেখ শাহজাহান।