প্রসেনজিৎ ধর :- শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে ভোটগ্রহণ চলছে। আর তার মাঝেই মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার কৃষক বাজার ময়দানের জনসভা থেকে একযোগে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপিকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শুক্রবার প্রথম দফার ভোটের দিন হরিহরপাড়ার সভায় তৃণমূল নেত্রী বললেন, “পরশুদিন ছোট্ট একটা ঘটনা ঘটিয়েছিল। কালকে আবার ঘটিয়েছিল। ওসি আহত হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৯ জন আহত হয়েছেন।” মমতার প্রশ্ন, “কেন অস্ত্র নিয়ে মিছিল করবেন আপনারা? কে আপনাকে অধিকার দিয়েছে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার? কে অধিকার দিয়েছে মণিপুরে চার্চ পুড়িয়ে দেওয়ার, কে তোমাকে অধিকার দিয়েছে মসজিদ দেখলেই বোমা মারার? কে আপনাকে অধিকার দিয়েছে সংখ্যালঘু দেখলেই বাড়িতে এনআইএ ঢুকিয়ে দেওয়ার?এর পরই বিজেপির হিন্দুত্বকে নিশানা করে মমতার বক্তব্য, “যেটাকে ওরা হিন্দু ধর্ম বলছে, ওটা হিন্দু ধর্ম নয়। চাপিয়ে দেওয়া বহিরাগত দাঙ্গা দস্যু ধর্ম। এই ধর্ম রামকৃষ্ণের হিন্দু ধর্ম নয়, বহিরাগতদের চাপিয়ে দেওয়া দস্যু দাঙ্গা ধর্ম।” মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, ” আমি বেঁচে থাকতে বাংলায় এনআরসি হতে দেব না।সিএএ আমি করতে দেব না। ইউনিফর্ম সিভিল কোডও করতে দেব না। ওটা চালু হলে আপনার আলাদা বলে কোনও ধর্মীয় রীতি থাকবে না।”অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনকেও তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার সঙ্গে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমকে ভোট না দেওয়ার আবেদন করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘যার বিয়ে এখানে সেই পুরোহিত। এটা প্রথম দেখছি। কী করে রাজ্যের পুলিশকে পুরো বাদ দিয়ে আপনারা শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাচ্ছেন? যাতে মানুষজন ভোট দিতে না পারে। সিপিএম–কংগ্রেসকে একটা ভোট দেওয়ার মানে বিজেপিকে দুটো ভোট দেওয়া। একটা ভোটও দেবেন না। আমি মিথ্যা কম বলি। সংসারে শান্তি বজায় রাখার জন্য যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুর বাইরে মিথ্যা বলি না। রাজনীতিতে তাই আমি টিকে আছি। কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। ৫০ দিনের কাজ করতে পারবেন। কেউ চাইলে ৬০ দিনও করতে পারেন।’