Breaking News

তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজভবন অভিযানে তুলকালাম, পুলিশের সঙ্গে বচসা-ধস্তাধস্তি!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় চলে ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। রানি রাসমনি অ্যাভিনিউ থেকে মিছিল করে রাজভবনের উদ্দেশে যায় শাসকদলের শিক্ষক ও অধ্যাপক সংগঠনের সদস্যরা। সেখানে গার্ডরেল দিয়ে তাঁদের আটকায় পুলিশ। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানান হয়। পরে রাজ্যপালের কুশপুতুলও দাহ করা হয়। এর জেরে সাময়িকভাবে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিন তৃণমূলের শিক্ষা সেলের মিছিলে অংশ নেন শিক্ষক ও অধ্যাপক সংগঠনের সদস্যরা। শুক্রবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে মিছিল করেন তাঁরা। রাজভবনের কাছে পৌঁছনোর আগে ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তাতেই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা শুরু হয়। একপ্রস্থ ধস্তাধস্তিও হয়। এই ঘটনায় তৃণমূল শিক্ষাসেলের সভাপতি মহিদুল ইসলাম-সহ বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েন বলেই খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।উল্লেখ্য, রাজভবনের অস্থায়ী মহিলা কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাজ্যপাল। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে হেয়ার স্ট্রিট থানা তদন্তও করছে। সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে তার ভিত্তিতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান গ্রহণের পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজভবনের ৬ কর্মীকে। কিন্তু একাধিকবার তাঁরা হাজিরা এড়িয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তারই মাঝে এক নৃত্যশিল্পীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নবান্নে জমা পড়েছে। একের পর নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার পথে নামেন তৃণমূল শিক্ষাসেলের সদস্যরা। রাজ্যপাল বোসের ইস্তফা দাবি করেন তাঁরা।এদিনের মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন সুদেষ্ণা রায়ও। তাঁর বক্তব্য, ‘সাংবিধানিক পদ বা রাজনৈতিক পদ বা কোনও উচ্চ পদে বসে থাকার সুযোগ নিয়ে, যদি কেউ মেয়েদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেন, তাহলে তার প্রতিবাদ দরকার। তদন্ত হওয়া দরকার। আমি সেই জন্যই প্রতিবাদ করতে এসেছি।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *