দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- অধীর রঞ্জন চৌধুরী অথবা প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা যতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করুন না কেন, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড যে সেই বিরোধিতাকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছে না, তা স্পষ্ট করে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ এমনকি, ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সমর্থন গ্রহণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধীর কেউ নন বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি৷
পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু কংগ্রেস বা সিপিএমের সঙ্গে কোনও জোটে নেই মমতা, তাই তিনি ইন্ডিয়া জোটে থাকছেন কি না, সেই প্রশ্ন ঘুরে-ফিরে এসেছে বারবার। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রশ্নই করা হয়েছিল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে। প্রশ্নের উত্তরে খাড়্গে বলেন, ‘২০০৪ সালে তো বামেরাও বাইরে থেকে ইউপিএ সরকারকে সমর্থন করেছিল৷ এরকম অনেকেই তো বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন করে৷ মমতাজি প্রথমে বলেছিলেন উনি বাইরে থেকে সমর্থন করবেন৷ পরে উনি আবার বলেছেন যে ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠন হলে উনি তাতে অংশ নেবেন৷ উনি জোটের সঙ্গে আছে, তা স্পষ্ট৷ অধীররঞ্জন চৌধুরী এই সিদ্ধান্ত নেবেন না৷ সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমরা আছি, কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড আছে৷ আমরা যে সিদ্ধান্ত নেব, সেটাই চূড়ান্ত হবে৷ কারও যদি দলের এই অবস্থানে আপত্তি থাকে, তাহলে তাঁকে বাইরে যেতে হবে৷’মল্লিকার্জুন খাড়গের এই মন্তব্যে স্বভাবতই দলের মধ্যে আরও কোণঠাসা হলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী৷ খাড়গের কড়া অবস্থানের পর অধীর বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নীতিগত বিরোধিতার কথা বলেছিলেন তিনি৷ ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে৷ চুঁচুড়ায় ভোট প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে বাইরে থেকে নতুন সরকারকে সমর্থন করবে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এই মন্তব্য নিয়ে জোর চর্চা শুরু হওয়ার পর হলদিয়ার সভা থেকে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘সর্বভারতীয় স্তরে অনেকে আমাকে ভুল বুঝেছেন৷ ওই জোট দিয়ে আমরা সরকার তৈরি করব, জোটে থাকব আমরা৷ ইন্ডিয়া জোটটা আমি তৈরি করেছিলাম, সেই জোটে থাকব৷’