প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রাত পোহালেই সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট। এ দফায় ভোট হবে কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনা জেলার ৯টি আসনে। ভোটের কাজের জন্য গত বুধবার থেকেই তুলে নেওয়া হয়েছে একাধিক বাস। ফলে ২৯ মে থেকেই শহর কলকাতায় কমছিল বাসের সংখ্যা। শুক্রবার সকাল থেকে রাস্তায় বাস প্রায় নেই বললেই চলে। ধর্মতলা, উল্টোডাঙা, রুবি, রাসবিহারী-সহ শহরের প্রধান কেন্দ্রগুলিতে সকাল থেকেই বাসের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। হাতে গোনা যে কটি বাস শহরে চলছে, এদিন দুপুরের পর থেকে তাও চলবে কিনা সন্দেহ। নির্বাচনের কাজের জন্য কলকাতা থেকে প্রায় দেড় হাজার বাস মিনি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। যার জেরে কলকাতার রাস্তা থেকে প্রায় উধাও বাস মিনিবাস। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টতই জানাচ্ছেন, নির্বাচনের কাজের জন্য বাস মিনিবাস তুলেন নেওয়া হয়েছে। তাই ভোগান্তি হলেও যাত্রীদের সেটা মেনে নেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই। তবে এর জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশও করছেন। সঙ্গে তিনি এও জানাচ্ছেন, কোভিডকালের পর থেকেই রাজ্যে বাস মিনিবাসের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েথে। একইসঙ্গে বাসের ভাড়া নিয়েও চলেছে টানাপোড়েন। সেই অর্থে ভাড়া বাড়ছে না অনেক বছর। তাই বাস মালিকেরা বাস তুলে নিয়েছেন। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, শেষ দফার ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার স্থানীয় থানা ও মোটর ভেহিকেলস বিভাগ বাস নিচ্ছে। তাই গত কয়েকদিন ধরে রাস্তায় বেসরকারি বাস কম সংখ্যাতেই পাওয়া যাচ্ছে। এই সময় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে বলে অভিযোগ। কারণ, এই ৯০ শতাংশ বাস রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হলে তার বিকল্প পরিবহণের বন্দোবস্ত করা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে বাসমালিক সংগঠনগুলি। ৪ জুন ভোটগণনা।তাই পয়লা জুন শেষ পর্বের ভোট হয়ে গেলেও সব গাড়ি যে বাসমালিকদের কাছে ফিরে আসবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই বলেই জানাচ্ছে কলকাতা পুলিশের একটি সূত্র। কারণ, ভোটগণনার আগে ভোটকর্মীদের জন্য পরিবহণের বন্দোবস্ত করতেও বিরাট আয়োজন করতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। এমতাবস্থায় কলকাতা শহর ও শহরতলিতে আগামী কয়েক দিন যানবাহনের আকাল থাকবে বলেই মনে করছে পরিবহণ সংগঠনগুলি।