দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-লোকসভা ভোটের প্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য জুড়ে সভা এবং রোড-শো করলেও শ্রীরামপুর, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা এই তিনটি কেন্দ্রে একটি কর্মসূচিও করলেন না তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।রাজ্যজুড়ে অভিষেক জনসভা ও পদযাত্রা মিলিয়ে মোট ৭২টি কর্মসূচি করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ১০৭ । তবে বিশেষ লক্ষণীয় অভিষেকের প্রচারসূচি থেকে বাদ গেল কলকাতার দুই লোকসভা কেন্দ্র। দলের এক সূত্র জানাচ্ছে, সিদ্ধান্ত নিয়েই শেষ লগ্নে অভিষেক প্রচার করেছেন নিজের কেন্দ্র-সহ দুই ২৪ পরগনায়। আর মমতা নিজে প্রচার করেছেন কলকাতায়।অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারের মতোই উত্তর কলকাতা এবং দমদমেও শনিবার ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রচারপর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দেখা গেল, অভিষেকের কোনও জনসভা বা রোড-শো হয়নি ওই দুই কেন্দ্রে। যেমনটা হয়নি পঞ্চম দফায় ভোট হয়ে যাওয়া শ্রীরামপুরেও। যা নিয়ে ভোটের মধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় অবশ্য বলেছেন, এই গোটাটাই ‘সংবাদমাধ্যমীয় কৌতূহল’। তাঁর কথায়, “অভিষেকের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। ও আমায় বলেছে, নিজের কেন্দ্রের প্রচারে ব্যস্ত থাকবে। তাই দমদমে আসতে পারবে না। তা ছাড়া ও এটাও বলেছে যে, আপনি তো জিতবেনই!” এ কথা ঠিক যে, অভিষেক নিজে ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী। শনিবার তাঁর নিজের কেন্দ্রেও ভোট। প্রচারপর্বের শুরু থেকে সারা রাজ্যে জনসভা, রোড-শো করার কারণে সে ভাবে নিজের কেন্দ্রে সময় দিতে পারেননি তৃণমূলের সেনাপতি।কিন্তু, তারপরেও কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রথমত, উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই নবীন প্রজন্ম আবার কিছু অভিযোগ তুলেছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার পুস্তিকায় কেন অভিষেকের ছবি নেই সেই প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে অনেককেই । উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় স্বয়ং অভিযোগ করেছেন সুদীপবাবু তৃণমূলের নবীন প্রজন্মের বিরোধী। বিজেপি প্রার্থী অধুনা তৃণমূল নেতা তাপস রায়ও গোষ্ঠী সমীকরণে তৃণমূলের অন্দরে অভিষেক গোষ্ঠীর নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাই অভিষেকের উত্তর কলকাতায় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার না করা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে নানা মহল।