প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কাশীপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়েন কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। এরপর বেলেঘাটাতেও তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। পরে বঙ্গবাসী কলেজেও বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাপস রায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী।সপ্তম দফা ভোটের সকালে খাস কলকাতায় বিজেপির এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। ভোট শুরু হওয়ার কিছু পরেই কাশীপুর ২৬ নং বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে খবর আসে। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তিনি পৌছতেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বিজেপির অভিযোগ, গতকাল রাত থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল কর্মীরা হুমকি দিয়ে এসেছেন ভোটারদের। পাশাপাশি সকালে যারা বুথে এসেছেন সেই ভোটারদের প্রভাবিত করছে তৃণমূল।এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবসার্ভার, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। এরপরই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কিছু তৃণমূল কর্মী, শুরু হয় বচসা।তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, উত্তর কলকাতায় সুস্থভাবে ভোট হচ্ছে। তাপস রায় সংবাদমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে শুধু উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছে। এই আসনে বিজেপির কিছুই নেই, তাই এসব করে খবরে থাকার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানোর যে অভিযোগ করছে বিজেপি, সেটাও অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের বক্তব্য, তৃণমূল যদি এলাকায় উন্নয়ন করে থাকে তাহলে বাধা দেওয়ার দরকার পড়ে না। সকলে শান্তিপূর্ণ ভোট চায়। কিন্তু গতকাল রাত থেকে একাধিক জায়গায় ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে। এরপরে বেলেঘাটাতেও বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাপস রায়। তাঁর গাড়ি ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মীরা। শিয়ালদহ বঙ্গবাসী কলেজের সামনেও তাপস রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় এবং গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। তাপস রায় বঙ্গবাসী কলেজে যেতেই তাঁকে ঘিরে ধরে তৃণমূল সমর্থকরা। জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া হয়। উল্টোডাঙার ভোটকেন্দ্রে গেলে, সেখানেও তাঁকে গো ব্যাক স্লোগানের মুখে পড়তে হয়। মহিলারা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ। তিনি বলেন, “ভোটকেন্দ্রের সামনে জমায়েত হয়ে এই সমস্ত হুমকি বাহিনীরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন আর তাদেরই সুরক্ষা দিচ্ছে পুলিশ।”