দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- ভোটগণনায় কোনও ত্রুটি হবে না, লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের আগের দিন সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে আশ্বাস দিলেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমার।
তবে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে চিন্তা থাকছেই, জানালেন তিনি। যদিও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথভাবে পরিস্থিতি সামলে নেবে বলেই আশাবাদী তিনি। সেই কারণেই ফলপ্রকাশের পরও ১৫ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।গতবারের তুলনায় এবার পুনর্নির্বাচনের সংখ্যা অনেক কম। কমিশন জানিয়েছে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে যেখানে ৫৪০টি পুনর্নির্বাচন হয়েছিল, এবার সেখানে মাত্র ৩৯টি পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। কমিশনার জানান, ভোটকর্মীদের কাজের চাপের কথা মাথায় রেখে কম পুনর্নির্বাচন করা হচ্ছে। গত চার দশকের মধ্যে এবার সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে, জানাল নির্বাচন কমিশন। কমিশনার বলেন, উপত্যকার মানুষ গণতন্ত্র দ্বারা নিজেদের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে প্রস্তুত। কমিশনার আরও বলেন, “এবার প্রথমবার ভোটে হিংসা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার মতো জায়গায় আগে কী হত, তা আপনারা দেখেছেন। এবার শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য ২ বছর ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না।”রাজীব কুমার বলেন, ‘‘আমরা আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী, হিংসা হবে না। তবে যদি হয়, তা মাথায় রেখে কয়েকটি রাজ্যে সিআরপিএফ থাকবে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। আমরা নিশ্চিত যে রাজ্য সরকার এবং সিআরপিএফ ভোট পরবর্তী হিংসা হতে দেবে না।’’ প্রসঙ্গত, রবিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, যেসব এলাকায় ছোটখাটো অশান্তির পরিবেশ, আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা, সেখানে থাকবে বাহিনী।
আশঙ্কা-উদ্বেগ সত্ত্বেও গণনা কেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় থাকছে। প্রথম পর্যায়ে থাকবে লাঠিধারী ও এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ এবং এরপর বাকি গণনা কেন্দ্র ঘিরে তৃতীয় পর্যায়ে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের ৫৫ টি গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। থাকবে ২৫২৫ জন রাজ্য পুলিশ।
গণনা কেন্দ্রে প্রতি বিধানসভা পিছু একজন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন অর্থাৎ ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ২৯৪ জন গণনা পর্যবেক্ষক থাকবেন। গণনা কেন্দ্রে শুধুমাত্র পর্যবেক্ষকরাই মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। এর পাশাপাশি গণনাকেন্দ্র সহ চারপাশ সিসিটিভিতে মোড়া থাকবে। পোস্টাল ব্যালট গণনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একবারই নির্দিষ্ট ওটিপি দেখার জন্য মোবাইল ব্যবহার করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার। এছাড়া গণনাকেন্দ্রের মধ্যে আর কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।