Breaking News

‘সন্দেশখালিতে পদ্ম ফুটবেই’!ভোট দিয়ে বেরিয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রতিক্রিয়া রেখা পাত্রের

নিজস্ব সংবাদদাতা :- ভোট পূর্ববর্তী সময়ে চূড়ান্ত ‘অশান্তি’ দেখা গিয়েছে সন্দেশখালিতে। সেই সন্দেশখালিতেই ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট হচ্ছে বলে দাবি করলেন সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। কিছু জায়গায় অভিযোগ থাকলেও কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে দাবি করেন তিনি।শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট হচ্ছে গোটা দেশে। সর্বত্রই উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে। এই আবহে সপ্তম দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু হতেই সন্দেশখালির বয়ানমারিতে বিজেপি–তৃণমূল সংঘর্ষে মোটরবাইক ভাঙচুর থেকে শুরু করে উভয়পক্ষের জখম হয়েছেন চারজন। মাথা ফাটলো বিজেপি কর্মীর বলে অভিযোগ। তবে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রটি নজরকাড়া হয়ে ওঠে এখানের ঘটা আন্দোলন এবং তারপর স্টিং অপারেশনে বিজেপির ব্যাকফুটে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। এখানে বিজেপি প্রার্থী করেছে রেখা পাত্রকে। আর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে হাজি নুরুল ইসলামকে। বাম–কংগ্রেসের জোট প্রার্থী নিরাপদ সর্দার। এবার ভোট দিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন রেখা পাত্র |শনিবার সকালেই রেখা পাত্রকে দেখা যায় বসিরহাট থেকে সন্দেশখালি উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারপরই কখনও জলপথে, কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও গাড়িতে বসিরহাট লোকসভা জুড়ে ঘুরে বেড়ান রেখা। অবশেষে নিজের ভোটও দেন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে রেখা পাত্র বলেন, ‘‌যা ২০১১ সালে করতে পারিনি সেটা ২০২৪ সালে করে দেখিয়েছি। এই ভোট মা–বোনদের সম্মানের। যাঁরা এতদিন ধরে অত্যাচার সহ্য করছেন তাঁদের ভোট। সন্দেশখালিতে তাই পদ্ম ফুটবেই।’‌ সন্দেশখালিতে নিজের বুথে ভোট দেওয়ার আগে সন্দেশখালি অভিযান সংঘের রক্ষা কালী মন্দিরে পুজোও দেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র।সন্দেশখালির সার্বিক ভোটচিত্র দেখে তিনি জানান, সন্দেশখালি পরিবেশ দেখে তাঁর ভালো লেগেছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে এ বছর ভোট দিতে পেরেছে সন্দেশখালির মানুষ। সাংবাদিকদের কাছে কিছু অভিযোগ থাকলেও তাঁর কাছে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। কিছু জায়গায় বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে রেখার দাবি, কেউ চক্রান্ত করে এমন কিছু করলেও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে নজর রাখা হচ্ছে। তারাই ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূল বিক্ষোভ করলেও রেখা পাত্র কোনও তর্কবিতর্কে যাননি। তাঁর বিশ্বাস সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *