প্রসেনজিৎ ধর :-ভোট মিটলেও থামছে না অশান্তির ঘটনা। এ বার পাথরপ্রতিমায় দুষ্কৃতীর হামলায় গুরুতর জখম হলেন সেখানকার ব্লক সভাপতি। আহত তৃণমূল নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে আসেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার। এই হামলার ঘটনায় আইএসএফকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।জমি নিয়ে বিবাদের জেরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাল এক দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের পাথরপ্রতিমা ব্লকের সভাপতির মহিম মোল্লার ওপর হামলা চালায় এক দুষ্কৃতী। ছুরি দিয়ে ব্লক সভাপতিকে কোপায় সে। ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন মহিম সাহেব। তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্লক সভাপতি সভাপতি মহিম মোল্লা দক্ষিণ গঙ্গাধরপুরে সমবায় ব্যাঙ্কের ওপরের তলায় দলীয় মিটিং করছিলেন। শৌচাগারে যাওয়ার জন্য তিনি বাইরে বেরোলে স্থানীয় এক দুষ্কৃতী তাঁর ওপরে ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। বেপরোয়া কোপাতে থাকে মহিম সাহেবকে। চিৎকার চেচাঁমিতে দলীয় কর্মীরা ওপর থেকে নেমে এলে ওই দুষ্কৃতী দৌড়ে এলাকা ছাড়ে। এর পর পাশের একটি গ্রামে আশ্রয় নেয় সে। তবে কয়েক শতাধিক মানুষ তার পেছনে ধাওয়া করে ধরে ফেলে তাকে। এর পর ঢোলাহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আহত অবস্থায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয় মহিম মোল্লাকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা। ধরা পড়া দুষ্কৃতীর নাম মইরুদ্দিন হালদার। তার বাড়ি বাড়ি উত্তরাবাদ এলাকায় বলে জানা গিয়েছে।খবর পেয়ে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে আসেন মথুরাপুরের সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ভোটের আগে এলাকার অনেক আইএসএফ কর্মী আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। সেই আক্রোশে এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়।’’বাপি হালদার আরও অভিযোগ করেন, ‘‘আইএসএফ ভেবেছিল এই পাথরপ্রতিমা থেকে ভোটে লিড পাবে। কিন্তু তা হয়নি। মানুষ তৃণমূলে ভোট দিয়েছেন। মহিম এই এলাকায় ভাল কাজ করেছে। তৃণমূলকে লিড দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই রাগ থেকেই মহিমকে আক্রমণ করা হয়। তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল। তবে অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যান মহিম।’’ পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান মথুরাপুরের সাংসদ।