দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অ্যক্রোপলিস মলের আগুনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, শুক্রবার দুপুরে ডিজি ফায়ার অভিজিৎ পাণ্ডের থেকে জানা গেল এমনটাই। একইসঙ্গে ঘটনার ফরেন্সিক তদন্ত হবে বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলাকার বিধায়ক জাভেদ খানও| মলের ফুডকোর্টে আগুন লাগে শুক্রবার বেলায়। চারতলায় ফুডকোর্টে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা মলের ভিতর। আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় । মলের কাচ ভেঙে দেওয়া হয় ধোঁয়া বের করার জন্যে। স্কাইলিফ্ট ঢোকানো হচ্ছে মলের আরেকদিকে।ধোঁয়ার মধ্যেই মলের ভিতরে প্রবেশ করেন দমকল কর্মীরা। অক্সিজেন মাস্কও ব্যবহার করতে দেখা যায় তাঁদের। ভিতরের গরম বাতাস ও ধোঁয়া ওই মলেরই ১৬ তলায় কাজ করেন মোনাশিস নামে এক যুবক। তিনি বলেন, ‘আমরা অফিসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ করেই ফায়ার অ্যালার্ম বেজে উঠল। অ্যাডমিন থেকে নীচে নেমে যেতে বলা হল। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফিফথ ফ্লোর পর্যন্ত সমস্ত কিছু পরিষ্কারই ছিল। কিন্তু তারপরেই ঘিঞ্জি পরিস্থিতি দেখা যায়। কারণ সিঁড়ির মধ্যে লোহা, সিমেন্টের বস্তা, প্লাই সহ আরও অনেক কিছু পড়েছিল। ফলে ওই জায়গাটা সরু হয়ে গিয়েছিল। এদিকে ধোঁয়াও বাড়ছিল। ফলে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁদের ধরে ধরে নামাতে হয়।’ এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। গোটা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তিনি। পরে সংসাদমাধ্যমে দমকলমন্ত্রী বলেন, ‘ওখানে একটা বইয়ের দোকান আছে। সেখানে কিছু ঝালইয়ের কাজ হচ্ছিল। সেখান থেকেই প্রাথমিকভাবে আগুনটা ছড়ায়। ঘটনায় ফরেনসিক পরীক্ষা ও তদন্ত সবই হবে।’ডিজি ফায়ার অভিজিৎ পাণ্ডে বলেন, ‘এখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুশ্চিন্তার কোনও কারণ। প্রাথমিকভাবে ফায়ার ফাইটিংই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আগুনকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। সব মিলিয়ে ১৫টি দমকলের ইঞ্জিন রয়েছে। তাছাড়া এখানকার অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাও রয়েছে।’