প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- তৃণমূলের তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর রেস্তোরাঁয় অশান্তির ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ অনুযায়ী, বিধাননগরের গোয়েন্দা বিভাগকে তদন্ত চালিয়ে যেতে হবে।গত ৭ জুন নিউটাউনের রেস্তোরাঁ মালিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে অভিনেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। আগামী ৪ জুলাই তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ। সম্প্রতি নিউটাউনের একটি রেস্তরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল সোহমের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং লাগাতার হুমকি পাওয়ার অভিযোগ তুলে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আনিসুল আলম নামে ওই রেস্তরাঁ-মালিক। শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী শামিম আহমেদ সওয়াল করেন, পুরো ঘটনাটি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ সঠিক ভাবে এই মামলার তদন্ত করছে না। সিআইডির কোনও উচ্চ পদমর্যাদার অফিসারকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত| রাজ্য জানায়, এই মামলাটি থানা থেকে সরিয়ে তদন্তের দায়িত্ব বিধাননগরের গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। নেতৃত্ব দেবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) পদমর্যাদার অফিসার। রাজ্যের বক্তব্য, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। দু’পক্ষকে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছিল। সেই সময় সোহমের শুটিং চলছিল। আনিসুল প্রথমে অভিযোগ দায়ের না করে মীমাংসা করতে চেয়েছিলেন। সেই মতো সমঝোতা হয়। কিন্তু পরের দিন ওই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তার পরেই রেস্তরাঁর মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়। ওই একই দিন সন্ধ্যায় অভিনেতাও থানায় পাল্টা অভিযোগ করেন। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৭ জুন। আর তার দু’দিন পর অর্থাৎ ৯ তারিখ মেডিক্যাল করানো হয় আক্রান্ত ব্যক্তির। আঘাত গুরুতর হলে এত দেরিতে মেডিক্যাল করানো হল কেন? সেই প্রশ্নও তোলা হয় আদালতে। এমতাবস্থায় আদালত আপাতত গোয়েন্দা বিভাগের উপরই তদন্তে আস্থা রাখল।