প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি :- চুরি করতে এসে ‘খোশ গল্প’ | চোরেদের কাণ্ডে অবাক প্রবীণা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ব্যান্ডেলের নলডাঙা এলাকায়। একা বৃদ্ধা, অবাধে ডাকাতি,লুটপাট চার দুষ্কৃতির। ব্যান্ডেল নলডাঙায় চাঞল্য। নলডাঙার বাসিন্দা রেনু পাল(৬৮)। তার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে অদিতি বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন ব্যান্ডেল ওলাইচন্ডীতলায়। ছোটো মেয়ে সোনালী সিন্ধে থাকেন মুম্বাইতে। দু-মাস ছোটো মেয়ের বাড়িতে ছিলেন বৃদ্ধা। সে সময় বাড়ি বন্ধই ছিল। গত সোমবার নিজের বাড়িতে ফেরেন।শুক্রবার ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে বাথরুম যান। বেরিয়ে দেখেন ঘরে বসে আছে চার যুবক। তাদের মাথায় স্পট লাইট লাগানো।বৃদ্ধা চিৎকার করতে গেলে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। হাত পা বেঁধে রেখে শরীর থেকে সোনার গয়না খুলে নেয় তারা।এরপর চাবি নিয়ে খোলে আলমারিও। পেনশনের ৩৫ হাজার টাকা তুলে রেখেছিলেন রেনুদেবী। তাও নিয়ে নেয় চোররা। বাদ পড়েনি প্রবীণার শাড়িও। একটি শাড়িও সঙ্গে করে নিয়ে যায় তারা। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে এই কাণ্ড চলে। প্রবীণার কথায়, ‘প্রত্যেকের বয়স ২২ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে ছিল। তারা সকলেই মদ্যপ ছিল। একজন তো চুরি করতে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিল।’ শুধু তাই নয়, জিনিসপত্র লুঠপাট করার ফাঁকে গৃহস্থের খোঁজখবরও নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এক ডাকাত প্রবীণাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর স্বামী কবে মারা গিয়েছে? কী ভাবে মৃত্যু? ইত্যাদি।গোটা ঘটনায় হকচকিয়ে যান প্রবীণা। ভয়ে তিনি চিৎকার করতে পারেননি। এদিকে তারা চলে যাওয়ার পর পুলিশে খবর দেন তিনি। তাঁর পাশেই আত্মীদের বাড়ি। বৃদ্ধার জা মিতা পাল বলেন, ‘আমরা পাশে থাকলেও কিছু টের পাইনি। এলাকায় প্রচুর বাড়ি ঘর রয়েছে। এই ধরনের জনবহুল জায়গাতে ডাকাতি হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছি।’স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ চট্টোপাধ্যায় পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ব্যান্ডেল ফাঁড়ির পুলিশ। কোদালিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শুভঙ্কর রাহা বলেন,’বড় রাস্তাগুলোতে পুলিশ টহল দেয়। কিন্তু, ভিতরের রাস্তাগুলিতে সেভাবে নজরদারি থাকে না। এর আগে পুরনো কোদালিয়াতে এই ঘটনা ঘটেছিল। তবে নলডাঙাতে এই ধরনের ঘটনা প্রথম।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal