দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছুঁতে পারে ১৫, আহত ৬০ যাত্রী। অন্য এক সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৮, আহত ৫৮ যাত্রী। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। অন্যদিকে শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনটি।মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ও আহতদের ২.৫ লক্ষ টাকা ও অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি পিএম ফান্ড থেকেও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড থেকে। বাংলায় রেল দুর্ঘটনায় নিয়ে শোকস্তব্ধ প্রধানমন্ত্রী। স্বজনহারাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে, মালগাড়ির লোকো পাইলট, অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডের।রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুসহ দেশের তাবড় নেতানেত্রীরা শোকবার্তা প্রকাশ করলেও এই দুর্ঘটনা ফের একবার ‘কবচ’ সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। রেলমন্ত্রী শোকবার্তা জানিয়ে অবিলম্বে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কিন্তু, একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা আঙুল তুলছে যাত্রী সুরক্ষার দিকেই। মানুষের ভুলে দুর্ঘটনা রুখতে রেল কর্তৃপক্ষ ‘কবচ’ সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান, মালগাড়ির চালক ভুল করে সিগন্যাল না বুঝে শিয়ালদহমুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের লাইনে ঢুকে পড়েন। কিন্তু, মানুষের ভুল সত্ত্বেও তা ঠেকাতে সুরক্ষা ব্যবস্থায় আমদানি করা হয়েছিল অটোমেটিক ট্রেন প্রটেকশন ব্যবস্থার। এই ব্যবস্থায় কোনও সিগন্যাল ভঙ্গ ঘটলেও তা রোখার নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু, তা এখানে ছিল না কেন?কবচ কার্যকর থাকলে চালককে সতর্ক করে দিতে পারত এবং ট্রেনটি থামিয়ে দিতে পারত। কারণ একই লাইনে দুটি ট্রেন নিরাপদ দূরত্ব ভেঙে চলে এলে সক্রিয় হয়ে ওঠার কথা কবচের। তাতে ব্রেক পড়ার কথা এবং স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় ট্রেনের গতিরোধ করার কথা।