নিজস্ব সংবাদদাতা :- লোকসভা ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এবার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদও ছেড়ে দিলেন অধীর চৌধুরী এমনটাই সূত্রের খবর । বহরমপুরের পাঁচবারের কংগ্রেস সাংসদ। সেই অধীর জমানায় কি এবার ইতি পড়তে চলেছে? গুঞ্জন ছড়িয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন অধীরবাবু। যদিও এখনও পর্যন্ত অফিশিয়ালি কংগ্রেসের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি এবং প্রদেশ কংগ্রেস শিবির থেকে এই বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। শুক্রবার কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসে বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠক শেষে অধীর বলেছিলেন, আমি প্রদেশ কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতি। মল্লিকার্জুন খাড়গে যেদিন থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন সেদিন থেকে তো দেশে আর কোনও রাজ্যে সভাপতি হয়নি। এবার যখন করবে তখন দেখতে পারবেন আপনারা। আমি তো অস্থায়ী সভাপতি। এবারের ভোটে বাংলায় ইন্ডিয়া জোট কার্যকর হয়নি। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রাদেশিক সমীকরণ। বামেদের সঙ্গে জোট করে তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল অধীরের প্রদেশ কংগ্রেস। ইউসুফের সমর্থনে বহরমপুরে প্রচারে গিয়ে বাংলায় ইন্ডিয়া জোট কার্যকর না হওয়ার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিলেন অধীর চৌধুরীর ভূমিকা নিয়ে।প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আবহে বাংলার এই সমীকরণ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও। খাড়্গে বলেছিলেন, ‘কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অধীর চৌধুরী কেউ নন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কংগ্রেসে হাইকমান্ড আছে। আমরা যা সিদ্ধান্ত নেব, সেটাই হবে। যদি কেউ সেটা মানতে না পারেন, তাহলে বেরিয়ে যেতে পারেন।’ এদিকে অধীরের পরে কে হতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি? তা নিয়েও বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর নতুন প্রদেশ সভাপতি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বাংলা থেকে কংগ্রেসের নবনির্বাচিত ও একমাত্র সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। এছাড়া পোড় খাওয়া প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আবদুল মান্নানও নতুন প্রদেশ সভাপতি হওয়ার দৌঁড়ে রয়েছেন বলে সূত্রের দাবি।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের গ্রাস থেকে দলকে রক্ষা করতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি অধীর। কিন্তু সেই অধীরই এবার ক্যাপ্টেনের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে খবর।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal