প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি:- বাড়ির সামনে থেকেই নিখোঁজ হয়েছিল ১ বছর ৯ মাসের শিশুটি। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল তার ছবি। নিখোঁজ শিশুর সন্ধান মিললে কোন নম্বর যোগাযোগ করা হবে, তাও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। ঝড়ের গতিতে শেয়ার হয়েছে সেই পোস্ট। ফেসবুকে দেওয়ালে অনেক লেখালেখিও হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই শিশুর দেহ উদ্ধার হল খাল থেকে। ভদ্রেশ্বরে নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হল খুঁড়িগাছি খাল থেকে।বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ চাঁপদানির খুড়িগাছি মল্লিহাটির ঘুঙির খাল থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়। খুন নাকি অন্য কিছু, কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।ভদ্রেশ্বর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেব বাগান এলাকায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এক শিশু নিখোঁজ ছিল।শিশুর নাম আরাধ্যা রাম। বয়স এক বছর নয় মাস। বিকালে বাড়ির কাছে খেলা করছিল শিশুটি। সন্ধ্যার পর থেকে আর তার খোঁজ মিলছিল না।ভদ্রেশ্বর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। বাড়ির কাছে খাল রয়েছে, সেই খালে তল্লাশির পাশাপাশি ঝোপঝাড়-জঙ্গলেও তল্লাশি চলে। পাতকুয়ার জল সেচ করেও দেখা হয়। ড্রোন ক্যামেরার দিয়ে চলে তল্লাশি। তবুও কোনও খোঁজ মিলছিল না শিশুটির। সামাজিক মাধ্যমে তার ছবি দিয়ে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। তাতে বলা হয়, ‘বাচ্চাটি চুরি গিয়েছে’ বলে।বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটিকে খুঁড়িগাছি খালে ভাসতে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। যেখানে গতকাল পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছিল সেখান থেকে কিছুটা দূরে।স্থানীয় এক যুবক খালের মধ্যে দেখতে পায় শিশুর মৃতদেহ আটকে রয়েছে। খবর পেয়ে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহ শনাক্ত করে শিশুর বাবা ভিকি রাম। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। কীভাবে ওই শিশুর মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ কমিশনার জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। শিশুর পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলছে পুলিশ।ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে।