দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতা, বিধাননগর সহ একাধিক জায়গায় হকার উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। কোথাও ১২ ঘন্টার সময় দেওয়া হচ্ছে তো কোথাও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বহু বছর ধরে ফুটপাতে ব্যবসা করে আসা হকারদের দোকান। আচমকা এই অভিযানে রুটি রুজি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন ছোটো ব্যবসায়ীরা।সোমবার নবান্নে পুরসভা নিয়ে বৈঠকে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমতো ‘বকাবকি’ করেন ছাড়লেন প্রশাসনিক সতীর্থদের। বিধাননগর পুরনিগমে ইচ্ছমতো লোক বসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উগরে দিলেন মমতা। মঙ্গলবার থেকেই শুরু সল্টলেক, গড়িয়াহাটে শুরু হল হকার ও অস্থায়ী দোকানদারদের উচ্ছেদ।গড়িয়াহাট, সল্টলেকের হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। জানা গিয়েছে, গড়িয়াহাট, সল্টলেকে একাধিক দোকান ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গড়িয়াহাটে ৬ জন হকারকে আটক করল পুলিশ। সল্টলেক ১৬ নাম্বার ট্যাঙ্কের কাছে অস্থায়ী দোকান ভাঙলো পুলিশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, একজনকে আটক করছে পুলিশ। একটি পুরনো দোকানকারকেই আটক করেছে পুলিশ।রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তির তালুক সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে কর্মসূত্রে রোজই হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা হয়। ক্রেতা টানতে সেক্টর ফাইভের বিভিন্ন ব্লকের রাস্তার দু’ধারে বাঁশ, কাঠ ও ত্রিপলের ছাউনিতে অস্থায়ীভাবে অসংখ্য খাবারের দোকান গজিয়ে উঠেছে। শুধু দিনে নয়, নাইট ডিউটির কর্মীদের জন্য রাতেও খোলা থাকে বহু দোকান। অভিযোগ, এর ফলে রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত কার্যত অবৈধ দখলদারিতে চলে গিয়েছে।মঙ্গলবার ইলেক্ট্রনিক কমপ্লেক্স থানা এলাকায় ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে হানা দেয় পুলিশ। এদিন সল্টলেক ১৬ নম্বর ট্যাঙ্কের কেবি ব্লকের ফুটপাতের দোকানগুলিতে সরিয়ে দেয় বিধাননগর কর্পোরেশন ও পুলিশের কর্মীরা। অন্যদিকে,এদিন এসএসকেএম হাসপাতালের বাইরের ফুটপাথের জবরদখল হঠাতে উদ্যোগী হয় কলকাতা পুলিশ। সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলরও।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal